শিলাজিৎ কি?
শিলাজিৎ হল একটি প্রাকৃতিকভাবে উপলব্ধ খনিজ পদার্থ যা পাওয়া যায় ভারতীয় উপমহাদেশের হিমালয় ও হিন্দুকুশ পর্বতমালায়। এটি একটি বিরল প্রজাতির রজন যা তৈরি হয় হাজার বছর ধরে পচন ধরা গাছ ও উদ্ভিদের উপকরণ থেকে। এই আটকে থাকা উদ্ভিদ উপকরণ বাদামী থেকে কালো রঙের চটচটে আঠার মত একটি পদার্থ হিসেবে বেরিয়ে আসে পাথরের ফাঁক থেকে। আয়ুর্বেদ, ভারতের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ব্যবস্থা হাজারো বছর ধরে শিলাজিৎ ব্যবহার করে চলেছে এটির স্বাস্থ্যবর্ধক বৈশিষ্টের জন্য। চরক সংহিতা ও সুশ্রুত সংহিতা, যেখানে এটি “সোনার মত ধাতব পাথর” এবং নরম ও আঠাল বস্তু হিসেবে বর্ণিত আছে। আয়ুর্বেদে শিলাজিৎকে একটি “রসায়ন”(শক্তিদায়ক ওষুধ)হিসেবে ধরা হয় এর সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করার উপকারিতা উল্লেখ করার সময়। আসলে, শিলাজিৎ নামটি অনুবাদ করলে যথাযোগ্যভাবেই তা দাঁড়ায় “পর্বতশৃঙ্গের বিজয়ী ও দুর্বলতার ধ্বংসকারী”। দুর্ভাগ্যবশতঃ, আধুনিক বিজ্ঞানের এই প্রাকৃতিক আশ্চর্যটিকে এখনও অনুসন্ধান করা বাকি।
জানতেন কি?
আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের মতে, শিলাজিতের গন্ধ গোমূত্রর মত বলা হয়। লোককথায় দাবি করা হয় যে যদি এটি নির্ভেজাল রূপে সেবন করা হয়, তাহলে এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত উপকারী।
শিলাজিৎ সম্পর্কিত কিছু প্রাথমিক তথ্যঃ
- লাতিন নামঃ অ্যাসফাল্টাম পাঞ্জাবিনিয়াম
- প্রচলিত নামঃ দস্তা, খনিজ পিচ, খনিজ মোম, শিলাজিৎ
- সংস্কৃত নামঃ শিলাজিৎ,শিলাজিতা
- ভৌগলিক বন্টনঃ শীলাজিৎ সাধারণত অত্যন্ত সহজলভ্য হিমালয়ে যার মধ্যে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং কাশ্মীরে এটি বৃহত্তম পরিমাণে মজুদ রয়েছে। চীন, নেপাল, পাকিস্তান, তিব্বত, এবং আফগানিস্তানেও এটি পাওয়া যায়।