বিটরুট, যার অন্য নাম বিট, বিট গাছের মূল এবং সেটি এ্যামার্যান্থেসি পরিবারের অন্তর্গত। কাঁচাই খাওয়া হোক অথবা গ্রেট করে স্যালাডে দেওয়াই হোক, অথবা স্যুপেই মেশানোই হোক, এর গাঢ় লাল রঙকে না দেখা অসম্ভব। এটা শুধু আকর্ষণীয় চেহারা এবং রঙের জন্যেই নয়, এর রোগ উপশমকারী এবং স্বাস্থ্য গড়ে তোলার গুণের জন্যও সুপারফুড হিসাবেও জনপ্রিয়। রস, হামাস, অথবা স্যালাড, বিটরুট তার রঙ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ এবং সুগন্ধের জন্য বিভিন্ন খাবারে উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রোমানরা সর্ব প্রথম বিট চাষ শুরু করেন। তবে, তখন এটি কেবল পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ষষ্ট শতকে এটি মানুষের খাদ্য হিসাবে জনপ্রিয়তা পেল। 19 শতকের মধ্য ভাগে ওয়াইন'এ রঙ আনার জন্য বিটরুট ব্যবহার করা হত।
চাষ করার পরে, সমস্ত গাছটিই খাবার উপযুক্ত হয়, শিকড় থেকে গাছ পর্যন্ত। এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হল যে এই নানা ভাবে বিটকে আপনার খাদ্যে ব্যবহার করতে পারেন। সিদ্ধ, রোস্ট, আচার, প্রেশার কুক করে, ভেজে, সিদ্ধ করে, রস বানিয়ে অথবা কাঁচাই স্যালাডে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বিটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেগুলি শরীরে পক্ষে খুবই উপকারী। নিয়মিত ভাবে খেলে বিট রক্তচাপ হ্রাস করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এছাড়াও বিট যকৃত রক্ষা করে এবং কর্কট রোগের থেকেও সুরক্ষা প্রদান করে। প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে অধিবিষ বিতারণেও বিট সহায়তা করে।
বিট সম্পর্কে কিছু মৌলিক তথ্য:
- বৈজ্ঞানিক নাম: বিটা ভালগারিস
- পরিবার: এ্যামার্যান্থেসি
- সাধারণ নাম: বিট
- সংস্কৃত নাম: পালঙ্ক
- যে অংশ ব্যবহারযোগ্য: শিকড় এবং পাতা
- আদি উৎপত্তি এবং ভৌগলিক বিতরণ: মনে করা হয় যে বিটের উৎস হল জার্মানি অথবা ইটালি এবং পরে তা উত্তরপূর্ব ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতবর্ষ এটি বিশেষ ভাবে হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রে বিটের চাষ হয়।
- মজার তথ্য: এ্যাপেলো-সয়ুজ পরীক্ষা-মূলক প্রকল্পে এ্যাপেলো 18'র মহাকাশচারীদের মহাকাশে "স্বাগতম পানীয়' হিসাবে বিটের সুপ পান করতে দেওয়া হয়েছিল।