ট্রিবিউলাস টেরেস্ট্রিস, সাধারণত গোক্ষুরা নামে পরিচিত, একটি বার্ষিক ঔষধি যা সারা বিশ্বে পাওয়া যায়। গোক্ষুরা একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ “গরুর ক্ষুর”। মাঠে চরবার সময় গরুর ক্ষুরে এই ছোট কাঁটাযুক্ত ফল আটকে যায়, তাই বোধহয় এর এই নামকরণ হয়েছে। গোক্ষুর গাছ অত্যন্ত চরম অবস্থার মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে, এবং শুষ্ক জলবায়ুতেও চাষ হতে পারে যেখানে অন্যান্য উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারে না।
গোক্ষুরা একটি শক্তিশালী ঔষধি ভেষজ এবং বিভিন্ন চিকিৎসাতে একে ব্যবহার করা হয়েছে। এই উদ্ভিদের ফল এবং শিকড় ভারতীয় আয়ুর্বেদে এবং চিন দেশের প্রথাগত চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয়েছে। গোক্ষুরার ফলের মূত্রবর্ধক, কামোদ্দীপক এবং প্রদাহ-বিরোধী গুণ আছে। এই উদ্ভিদের শিকড় ব্যবহৃত হয় হাঁপানি, কাশি, রক্তাল্পতা এবং দেহের অভ্যন্তরের প্রদাহের চিকিৎসার জন্য। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগের চিকিৎসায় এই উদ্ভিদের পোড়া ছাই ব্যবহার করা হয়।
চরক, ভারতীয় চিকিৎসাবিদ্যার জনক, জানিয়েছিলেন যে এই উদ্ভিদটি কামোদ্দীপক, অর্থাৎ যৌন কামনা বৃদ্ধিকারী, মূত্রবর্ধক এবং দেহ থেকে মূত্রের মাধ্যমে টক্সিন বার করে দেয়।
গোক্ষুরা সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য:
- বৈজ্ঞানিক নাম: ট্রিবিউলাস টেরেস্ট্রিস
- পরিবার: জাইগোফিলিয়েসি
- সাধারণ নাম: গোখরু, গোকশুর, চটগোখরু
- ব্যবহৃত অংশ: মূল এবং ফল ঔষধ ব্যবহৃত হয়।
- আদি উৎপত্তি এবং ভৌগলিক বিতরণ: এই ঔষধি উদ্ভিদ ভারতে উদ্ভূত। এটি ব্যাপকভাবে ভারত ও আফ্রিকা জুড়ে পাওয়া গেলেও এশিয়ার কিছু অংশ, মধ্য প্রাচ্য এবং ইউরোপেও পাওয়া যায়।