আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন, ‘‘ঋগ্বেদ’’-এর পাতায় পাওয়া যায় অ্যালোভেরার অভাবনীয় ক্ষমতার কথা।
বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছে অ্যালো ভেরা কারণ, সৌন্দর্যের চাবিকাঠি হিসাবে এর প্রয়োজনীয়তার জন্য এটিকে বলা যেতে পারে সুপারফুড, এবং ‘‘রহস্যময় গুল্ম’’। ভারতে এটি ‘‘ঘৃতকুমারী’’ নামেও সমধিক পরিচিত। আয়ুর্বেদ গবেষকদের মতে, নারীদের ঋতুচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা এবং মসৃণ ত্বকের উপকারিতার জন্য গুল্মটির বয়স কখনও বাড়ে না বলে যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেই কারণে এটিকে সংস্কৃতে ‘‘কুমারী’’ বলা হয়। আয়ুর্বেদই হোক বা পশ্চিমী চিকিৎসা, প্রতিটি ঐতিহ্যশালী চিকিৎসা শাস্ত্রে এই গুল্মের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে।
ঘৃতকুমারী একটি সরস উদ্ভিদ (নরম এবং রসালো)।এর পুরু এবং মোটা পাতা এবং কাণ্ড মূলত ব্যবহার হয় জল সঞ্চয় করে রাখ্যর জন্য। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অ্যালোভেরাকে মূলত বাত এবং যক্কৃতের উপসর্গের উপশমের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রখ্যাত প্রকৃতিবিদ প্লাইনি দ্য এল্ডার জানিয়েছেন, কুষ্ঠের ক্ষত নিরাময়েও অ্যালো ভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উদ্ভিদ শুধুমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশেই জনপ্রিয় ছিল না, গবেষকেরা প্রাচীন মিশরীয় দলিলেও এর বিশদ বিবরণ পেয়েছেন। এমনকি, বলা হয়ে থাকে, মিশরীয়রা এটিকে ‘‘অমৃত উদ্ভিদ’’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। মিশরের ইতিহাস প্রসিদ্ধ রানি ক্লিওপেট্রা আপন সৌন্দর্যের বিকাশে এটির সাহায্য নিতেন বলেও জানা যায়!
আপনি কি জানেন?
ঘৃতকুমারী নামটি এসেছি আরবীয় শব্দ ‘‘অলোহে’’ থেকে যার অর্থ ‘‘তিক্ত পদার্থের ঔজ্জ্বল্য’’ এবং ‘‘ভেরা’’ একটি লাতিন শব্দ যার অর্থ ‘‘সত্য’’ বা খাঁটি।
ঘৃতকুমারী সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য:
- বৈজ্ঞানিক নাম: অ্যালো বার্বাডেনসিস মিলার
- পরিবার: অ্যাসপোডেলাসিয়া
- সাধারণ নাম: অ্যালো ভারা, বার্ন প্লান্ট, ঘি কুমারী, কুমারী
- সংস্কৃত নাম : ঘৃতকুমারী’
- ব্যবহৃত অংশ: পাতা
- আদিতে উদ্ভূত এবং ভৌগৌলিক বণ্টন: অ্যালো ভেরা আদিতে আফ্রিকায় উৎপন্ন হত, পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আদি উৎপত্তিস্থল ছাড়িয়ে মধ্য প্রাচ্য এবং ভারত-সহ বিশ্বের অধিকাংশ ঊষ্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাজস্থান, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে এর দেখা মেলে।
- এনার্জেটিক: শীতল