আদা গাছটি জিঙ্গিবেরাসি পরিবারের অন্তর্গত হলুদের মত ঔষধীয় বিস্ময়ের পাশাপাশি। সারা বিশ্বের যে কোন রান্নাঘরে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মশলাগুলির মধ্যে একটি। আসলে, আদার মশলাদার এবং সতেজ স্বাদটি হল অনেক বিখ্যাত রান্নার প্রধান উপকরণ। কিন্তু এই মশলার জাদু শুধুমাত্র রান্নাঘরেই আবদ্ধ নয়।
হাজারো বছর ধরে আদা একটি নিরাময়কারী প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে আয়ুর্বেদিক, ইউনানী এবং সিদ্ধা চিকিৎসায়। এটি সর্বোত্তম গাছড়াগুলির মধ্যে একটি যা বমি ভাব, বমি, গ্যাস, স্থুলতা কমাতে ব্যবহার করা হয়। আদা চা ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জনপ্রিয় পানীয় এটির শরীরের ওপর উষ্ণতা এবং উদ্দীপক প্রভাবের জন্য। শরৎ ঋতুতে আবির্ভূত হয়ে এটি জিঞ্জারব্রেড ক্যান্ডি এবং সজ্জা বড়দিনের স্বাদ এবং সজ্জার বেশিরভাগ জুড়ে থাকে।
আদা শব্দটি আসে সংস্কৃত শব্দ শৃঙ্গভরম থেকে যা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় “শিং মূল”। এটি সম্ভবত ব্যাখ্যা করে আদার গঠনকে।
জানতেন কি?
আদা, যেটি জনপ্রিয় আদার মূল নামে, আসলে একটি মৌলকাণ্ড বা পরিবর্তিত কাণ্ড। আপনি হয়তো জানলে আগ্রহী হবেন যে 14ই শতাব্দীতে এক পাউন্ড আদা আর একটি ভেড়ার মান সমান ধরা হত। আজ পর্যন্ত আদাকে একটি অত্যন্ত মূল্যবান পণ্য বলে মনে করা হয় এটির ঔষধীয় গুণ এবং রন্ধন মূল্যের জন্য।
আদার ব্যপারে কিছু মৌলিক তথ্যঃ
- বোটানিকাল নামঃ জিঙ্গিবার অফিসিনালি
- পরিবারঃ জিঙ্গিবেরাসি
- প্রচলিত নামঃ আদা, আসল আদা, আদ্রাক
- সংস্কৃত নামঃ আদ্রাক
- ব্যবহৃত অংশঃ কাণ্ড
- স্থানীয় অঞ্চল এবং ভৌগলিক বণ্টনঃ আদা এশিয়ার গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলির স্থানীয়। এটি ভারত, আফ্রিকা এবং আমেরিকার কিছু অংশে ব্যপকভাবে চাষ করা হয়।
- কর্মশক্তিঃ উষ্ণায়ন