ভ্যারিকোসিল কি ?
শুক্রানু নালীর পেম্পিনিফর্ম প্লেক্সাস শিরার (একটি নালী যা পুরুষের অণ্ডকোষকে ধরে রাখে) মধ্যে ফুলে যাওয়াকে ভ্যারিকোসিল বলা হয়। 100 জন পুরুষের মধ্যে, প্রত্যেক 10-15 জনের উপর ভ্যারিকোসিলের প্রভাব পড়ে যা পায়ের শিরায় হওয়া ভ্যারিকোসের মতো।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি ?
ভ্যারিকোসিলে সাধারণত দেখতে পাওয়া লক্ষণ ও উপসর্গগুলি হলঃ
- অস্বস্তি সৃষ্টি।
- মৃদু ব্যথা।
- স্ক্রটামের শিরার বৃদ্ধি বা মচকে যাওয়া।
- ব্যথা বিহীন টেস্টিকুলার লাম্প।
- স্ক্রটাল ফুলে যাওয়া বা স্ফিত হওয়া।
- বন্ধ্যাত্ব।
- শুক্রানুর সংখ্যা কম হওয়া।
- বিরলভাবে- কোন উপসর্গ দেখা যায় না।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি ?
ভ্যারিকোসিলে প্রধানত শিরার ভাল্বটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার জন্য স্পারমেটিক কর্ডের সাথে অল্প রক্ত সঞ্চালিত হয়,যার ফলে শিরাটি ফুলে যায় ও বড় হয়ে যায়। কিডনিতে টিউমারের মতো অবস্থা দেখা দিলেও শিরায় রক্ত প্রাবাহিত হওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি হয়।
কিভাবে এর নির্ণয় করা হয় ?
চিকিৎসক উপসর্গগুলির সম্পূর্ণ ইতিহাস গ্রহন করেন ও কুঁচকির অঞ্চলটি ভালোভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে রয়েছে স্ক্রটাম এবং টেষ্টিকেল, এবং দেখেন যে স্পারমেটিক কর্ডএ কোনও পাকানো শিরা আছে কিনা। এক্ষত্রে নীচে শুয়ে থাকা অবস্থায়,এটি দেখা যায় না। আবার, পরীক্ষার সময় টেস্টিক্যালের প্রতিটি সাইড আলাদাভাবে দেখা হয় কারণ দুদিকের টেষ্টিকেলের মাপ আলাদা হয়।
ভালসালভা ম্যানুএভারটি চিকিসকের দ্বারা সঞ্চালন করা হয়,যতক্ষণ না চিকিৎসক স্ক্রটামটি অনুভব করেন ততক্ষন আপনাকে গভির নিশ্বাস গ্রহন করে সেটি ধরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিকিৎসক স্ক্রটামের, টেস্টিক্যালের এবং কিডনির আলট্রাসাউনড এর পরামর্শ দিতে পারেন।
যতক্ষণ না ভ্যারিকোসিলে ব্যথা, প্রজনন ও টেস্টিক্যালের বৃদ্ধির পরিবর্তন জনিত সমস্যা দেখা দেয় (বাদিকের অংশটি ডান দিকের তুলনায় কম বৃদ্ধি পাওয়া) ততক্ষন এর চিকিৎসা করা যায় না।
- অস্বস্তি দূর করতে জক সটরাপ বা আরামদায়ক অন্তরবাস ব্যবহার করা উচিত।
- ভ্যারিকোসিল টি ঠিক করতে ভ্যারিকোসিলেকটোমি পদ্ধতিতে অস্ত্র প্রচার করা হয়।
- ভ্যারিকোসিল এমবিলাইজেশন একটি অন্যতম অস্ত্রপ্রচার পদ্ধতি।
- পারকুটেনাস এমোবিলাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার।
- ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্যকারী কেবল মাত্র (অ্যাসিটামিনফেন, ইবুফরফেন) ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।