থাই ব্যথা কি?
থাইতে ধীরে ধীরে বা ক্রমাগত বিকাশপ্রাপ্ত ব্যথা কোনপ্রকার থাইয়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা বা আঘাত লাগার ফলে হতে পারে। সাধারণত, টপিক্যাল ব্যথা কমানোর ক্রিম বা বরির মতো ওষুধের গ্রহনে ব্যথাটি সপ্তাহখানেকের মধ্যে কমে যায়। যেসকল ব্যক্তিরা প্রাত্যহিক ফুটবল, সসার, বাস্কেটবল, লং জাম্প, জাম্পিং হারডেলস ও অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত তাদের থাই ব্যথা হতে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
এর সাথে জড়িত প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি হল:
- আঘাত লেগে স্থানটি থেঁতলে যাওয়া।
- ফুলে যাওয়া।
- জায়গাটি টন টন করা।
- জায়গাটিতে ব্যথা করা।
- পেশীতে সংকোচন।
- পেশীতে দুর্বলতা।
- অসাড়তা।
- চুলকানি।
- সংবেদনশীলতা।
- থাইয়ের বাইরের দিকে জ্বালাসহ ব্যথা।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
থাইতে ব্যথার প্রধান কারণগুলি হল:
- পেশীতে টান ধরা।
- শিরা ফুলে ওঠা।
- আঁটসাটা পোশাক পরা।
- মাংসপেশিতে আঘাত।
- অতিরিক্ত কাজের ফলে আঘাত।
- একটি সরাসরি আঘাত বা পড়ে যাওয়া।
- চাপজনিত ফাটল।
- অষ্টিয়আর্থারাইটিস।
- গর্ভাবস্থা।
- স্থূলকায় হওয়া বা শরীরের অতিরিক্ত ওজন।
- ইলিয়টিবিয়াল ব্যান্ড ফ্রিক্সন সিন্ড্রোম।
- উদাহরন স্বরুপ ছোটা বা সাইকেল চালানোর মতো বারবার ব্যায়াম করা।
- শিরার গভীরে রক্ত জমাট বাধা।
- ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথি (রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রার ফলে অসাড়তা ও ব্যথা হওয়া)।
- খেলতে গিয়ে আঘাত লাগা।
- রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস।
- ফিমারে ফাটল।
- অষ্টিয়পোরসিস।
- থাইয়ের মাংস পেশীতে রক্ত জমাট বাধা।
- ম্যারালজিয়া প্যারাস্থেটিকা (এর কারণে থাইতে জ্বালাদায়ক ব্যথা সৃষ্টি হয়)।
- অলস জীবনযাত্রা।
- হাড়ের দুর্বলতা।
- সোডিয়াম, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের মতো পরিপোষক বা পুষ্টির অভাব।
- স্ট্রোক।
- অন্য পায়ের আঘাত থেকে ব্যথা ছড়িয়ে পরা।
কিভাবে এর নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
নীচে দেওয়া পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে থাইতে ব্যথা নির্ণয় করা হয়:
চিকিৎসক উপসর্গগুলি পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্বাস্থ্য বিবরণী থেকে ব্যথার কারণ জানতে পারেন।তারপর চিকিৎসক থাইতে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটির, ফোলাভাব ও সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করেন। হাড়ের মধ্যে কোন আঘাত লেগেছে কিনা জানার জন্য এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করা জরুরী হতে পারে। থাইতে নড়াচড়ার গতিও পরীক্ষা করা হতে পারে।
অন্তর্নিহিত কারণের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা পরিবর্তিত হয়। কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি নীচে দেওয়া হল:
- বিশ্রাম, বরফ, সংকোচন ও উচ্চতা(আরআইসিই) ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলি ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যথানাশক ওষুধ - বরি, ক্রিম ও ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে দেওয়া হয়
- প্রসারণ ব্যায়াম করা।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ।
- আহত স্থানে তাপ বা সেঁক দেওয়া।