সারাংশ
আমাদের শরীরে এমন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া চলে যার ফলে পায়খানা, প্রস্রাব, এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন), বর্জ্য এবং ক্ষতিকর পদার্থ নিষ্কাশিত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ার অন্যতম হল শরীরের মূত্রনালী, যা একাধিক সমন্বিত প্রত্যঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত, তার সাহায্যে রক্ত পরিশ্রুত হয় এবং ইউরেথ্রার মধ্য দিয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশিত হয়ে যায়। প্রস্রাবের সময় কোনও যন্ত্রণা বা অস্বস্তি অনুভূত হলে তাকে প্রস্রাবে জ্বালা আর ব্যথা বলে চিহ্নিত করা হয়। এই অস্বাচ্ছন্দ্যের পিছনে বিভিন্ন কারণের মধ্যে সাধারণত থাকে মূত্রনালী বা শ্রোণিদেশে (পেলভিক অঞ্চলে) সংক্রমণ, শরীরে জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন, বৃক্কে (কিডনিতে) পাথর, টিউমার, ওষুধের ব্যবহার (মেডিকেশন), রেডিওথেরাপি বা অ্যালার্জি। সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে প্রস্রাব শুরু করা বা প্রস্রাব করাকালীন যন্ত্রণা বোধ হওয়া। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ থাকতে পারে, যেমন দুর্গন্ধ, ইউরেথ্রা থেকে ক্ষরণ, পেলভিক অঞ্চল লাল হয়ে যাওয়া বা সেখানে অস্বস্তি, এবং অন্যান্য উপসর্গ।
প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা প্রতিরোধ করার উপায় হল, সুষম খাদ্য গ্রহণ, প্রচুর তরল পানীয় বা জল খাওয়া, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মদ্যপান এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রিত করা, এবং বছরে অন্তত একবার শরীর পরীক্ষা করানো। এই চিকিৎসার মধ্যে থাকবে সংক্রমণ, ফুলে যাওয়া, এবং কিডনিতে ছোট পাথরের জন্য ওষুধের ব্যবস্থা এবং টিউমার বা কিডনিতে বড় পাথর থাকলে অস্ত্রোপচার করে তা বাদ দেওয়া। সময়মত চিকিৎসা হলে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়। জটিলতা সাধারণত বেশি দেখা যায় না এবং সংক্রমণের পুনরাবৃত্তি, রক্তের সংক্রমণ বা সেপসিস, ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি, নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব বা জন্মের সময় ওজন কম হওয়া, এবং আরও বিবিধ কারণের জন্য তা হতে পারে।