কোন বা কোন সময় আমাদের সবারই সাধারণ সর্দি হয়েছে। সাধারণ সর্দির উপসর্গগুলি যেমন নাক দিয়ে জল ঝরা বা বন্ধ নাক, জ্বলনযুক্ত গলা এবং অনবরত একটানা হাঁচি আমাদের সবার ক্ষেত্রেই যথেষ্ট সম্বন্ধযুক্ত। যাই হোক, সাধারণ সর্দির সাথে যুক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখনও সবার জানা নেই যেমন সাধারণ সর্দি সঠিক কি? এর কারণগুলি কি? কিভাবে এটাকে সারানো যেতে পারে? এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিভাবে একজন নিজেকে সাধারণ সর্দি থেকে প্রতিরোধ করতে পারেন? সাধারণ সর্দি সম্পর্কে সবকিছু অনুসন্ধান করার জন্য পড়তে থাকুন।
এটা কি?
সাধারণ সর্দি হচ্ছে জীবাণুগুলির দ্বারা ঘটিত উর্দ্ধ শ্বাসনালীর একটা সংক্রমণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে 200 ধরণের বেশি ভাইরাস (জীবাণু) আছে যেগুলি এই দশার জন্য দায়ী হতে পারে, যেগুলির মধ্যে “রাইনোভাইরাস” সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসাবে দেখা গিয়েছে, সাধারণ সর্দির দশার কেসগুলির প্রায় অর্ধেকের জন্য এটা দায়ী। অন্যান্য ভাইরাসগুলি যা সাধারণ সর্দি ঘটায় সেগুলি হল কোরোনাভাইরাস, রেস্পিরেটোরি সিংসিশিয়াল ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
সাধারণ সর্দি কিভাবে ছড়ায়?
এই অবস্থা বা দশা হচ্ছে সংক্রামক এবং সেইসমস্ত ব্যক্তি যাঁরা উপরে উল্লিখিত ভাইরাসগুলির কোনও একটির দ্বারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মাধ্যমে আপনি সহজেই সাধারণ সর্দির আওতায় এসে যেতে পারেন। এই দশাটা বাতাস, একজন সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সংস্পর্শ অথবা সেই বস্তুগুলির সাথে সংস্পর্শে আসা যেগুলি সংক্রামক যেমন কম্পিউটার কিবোর্ড, মোবাইল ফোন, দরজার হাতল, এবং চামচ ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। চিকিৎসকরা একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কোনও সরাসরি ত্বকের সংযোগ না রাখা এবং তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন, এরকম করার দ্বারা আপনি সাধারণ সর্দির সংক্রমণে আপনার আসার সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়াতে পারেন।
আপনি হয়তো জানেন, ইতিমধ্যেই জানেন, সাধারণ সর্দির অতিব্যাপকতার জন্য প্রধান কারণগুলির অন্যতম হল যেহেতু এটা বাতাসে থাকা সংক্রামক তরলের ফোঁটাগুলির মাধ্যমে সহজেই ছড়াতে পারে যখন আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাঁচি দেন, কাশেন অথবা এমনকি একজন আর একজনের সাথে কথা বলেন। ভাইরাসটা চারপাশে নিঃসারিত হয় এবং মানুষগুলো দ্রুত সাধারণ সর্দির সংক্রমণে আসেন যেহেতু ভাইরাস নাসাপথ অথবা গলার পর্দার মাধ্যমে শরীরে ঢোকে।
প্রথম দিকে, আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা এইসমস্ত সংক্রমণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার দ্বারা শরীরকে রক্ষা করে এবং প্যাথোজেনটাকে (ভাইরাস) ডব্লিউবিসিস-এর (হোয়াইট ব্লাড কোরপাস্ল) সাহায্যে আক্রমণ করে। কিন্তু যদি আপনার শরীর এই অবস্থার দ্বারা আগে সংক্রামিত না হয়, আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর জন্য প্রস্তুত নাও থাকতে পারে। এই কারণে, আপনার নাক এবং গলায় একটা প্রদাহ (ইনফ্ল্যামেশন) হয় যা মিউকাস বা শ্লেষ্মা তৈরি করে। আপনি হয়তো জেনে আশ্চর্য হবেন এবং এটা এমনকি অনুভবও করবেন না, কিন্তু আমাদের শরীর এইসমস্ত ভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে, যা প্রায়ই অবসাদে পর্যবসিত হয় (দুর্বল এবং ক্লান্তি অনুভব করা)।
আপনি কি জানতেন?
একটা প্রচলিতভাবে অনুমিত শ্রুতি আছে যে ঠাণ্ডা অনুভব করা অথবা ভিজে যাওয়া আপনাকে অসুস্থ করে এবং সাধারণ সর্দির সংক্রমণ ঘটায়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি নিশ্চিত করে যে, সাধারণ সর্দির আক্রমণের সম্ভাবনা বহুগুণ বৃদ্ধি পায় যখন আপনি চাপে থাকেন, অথবা মনের কোনও আবেগপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন কিংবা গলা এবং নাকের উপসর্গগুলির সাথে কোনও অ্যালার্জি থাকে।