সারাংশ
শ্বাস নালী (ব্রংকাই) সরু হয়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধার নাম হাঁপানি। এটি একটি দীর্ঘ স্থায়ী বংশানুক্রমিক অসুখ। এই রোগে দেহে বাতাস প্রবেশের রাস্তা বিভিন্ন বস্তুর প্রতি সংবেদনশীল হয়, যেমন ফুলের পরাগ, মোল্ড, আরশোলার মল, ধুলোর কীট, বিড়াল বা কুকুরের লোম, সংক্রমণ এবং অন্যান্য বিরক্তিকর বস্তু (পরিবেশের দূষণ, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, ব্যায়াম, ওষুধের মধ্যে এসপিরিন, কৃত্রিম সংরক্ষক)। এই এলার্জিকারী বস্তুগুলির (এলার্জেন) সংস্পর্শে এলে শ্বাস নালী সংকুচিত হয়। এর ফলে দমবন্ধ, কাশী, বুকের উপরে চাপ এবং বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দের মত উপসর্গগুলি দেখা যায়।
বাচ্চাদের মধ্যেও হাঁপানি একটি সাধারণ অসুখ। এই বাচ্চারা ঘরের ভিতরের এলার্জেনগুলির (বিছানার ধুলো, কারপেট, পরাগ রেণু, পোষা জন্তু) প্রতি সংবেদনশীল হয়। এর ফলে প্রায়ই তাদের অসুখে ভুগতে হয় এবং স্কুল কামাই হয়। যেহেতু হাঁপানির কোন নিরাময় নেই, তাই তাৎক্ষণিক আরাম দেওয়া এবং বারে বারে এর আক্রমণ বন্ধ করাই চিকিৎসার লক্ষ্য হয়। হাঁপানির চিকিৎসায় শ্বাসের সাথে নেওয়ার স্টেরয়েডস, ব্রঙ্কোডায়ালেটারস (শ্বাস নালীর পেশীগুলি শিথিল করে বাতাস যাওয়ার পথ করে দেয় যে ওষুধগুলি) এবং ফোলা বন্ধ করার ওষুধগুলি সাধারণত প্রেসক্রাইব করা হয়। অধিকন্তু, নিজের যত্ন নেওয়া যেমন কোন বস্তুগুলি থেকে হাঁপানি হয় তা জানা এবং এড়িয়ে চলা, ওষুধ পত্রের ব্যবস্থা করে রাখা এবং নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা বিশেষ ভাবে হাঁপানির সাথে লড়াইতে সাহায্য করে।