মূত্রের অম্লতা কি?
অ্যাসিডযুক্ত মূত্র মানে হল প্রস্রাবের পিএইচ মাত্রা কম। খাদ্য এবং ওষুধপত্রের মতো নানা কারণে মূত্রের অ্যাসিডযুক্ত পিএইচ মাত্রা থাকে। সোডিয়ামের মাত্রাবৃদ্ধি এবং শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিড সংরক্ষণ মূত্রকে অম্ল করে তোলে। কিডনি রক্তের নিয়মিত পিএইচ মাত্রা বজায় রাখার জন্য মূত্রে অ্যাসিডের মাত্রা বদলায়। চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হলে, মূত্রে অ্যাসিডের উচ্চমাত্রা থেকে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
এর সঙ্গে জড়িত প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
মূত্রে অম্লতার সঙ্গে যুক্ত প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গ হল:
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা।
- শ্বাস নেওয়ায় সমস্যা।
- বমি।
- বিভ্রান্তিবোধ।
- মাথাব্যথা।
- প্রস্রাবে রক্ত।
- কম খাটুনিতেই ক্নান্ত হয়ে পড়া।
- শারীরিক অবসাদ।
- ঘুম-ঘুম ভাব।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
মূত্র অম্লতার প্রধান কারণ:
- ক্র্যানবেরি জুস।
- অনিয়ন্ত্রিত মধুমেহ রোগ।
- শ্বাসযন্ত্রের অসুখ, যার ফলে অ্যাসিডোসিস হয়।
- ডিহাইড্রেশন।
- অ্যাসিডোসিস (শরীরের জলীয় উপাদানে অতিমাত্রায় অ্যাসিডের উপস্থিতি)।
- রেনাল টিউবুলার অ্যাসিডোসিস।
- হাইপারক্লোরেমিক অ্যাসিডোসিস।
- ল্যাক্টিক অ্যাসিডোসিস।
- ডায়াবিটিক অ্যাসিডোসিস।
- ঘোল, দই এবং সোডার মতো খাদ্য উপাদান গ্রহণ।
- উপোস।
- যথেচ্ছা মদ্যপান।
- ওষুধপত্র, যেমন - ফুরোসেমাইড।
- পেট খারাপ।
- আমিষ খাদ্যগ্রহণ।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
নিম্নলিখিত পদ্ধতির সাহায্যে মূত্রের অম্লতা নির্ণয় করা হয়:
- অ্যাসিড লোডিং পরীক্ষা: এই টেস্টের মধ্যে রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি মূত্র পরীক্ষাও রয়েছে। রক্তে অতিরিক্ত অ্য়াসিডের উপস্থিতিতে মূত্র উৎপাদনের সময় কিডনির অ্যাসিড বিতরণের কার্যপদ্ধতি পরিমাপ করে এটি।
- ইউরিন পিএইচ টেস্ট: মূত্রে অম্লতার মাত্রা পরিমাপ করা হয় এই পরীক্ষায়।
- মূত্রে অম্লতার কারণ হতে পারে এমন ওষুধপত্র এবং অন্তর্নিহিত রোগ সন্ধানের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত ইতিহাসের উল্লেখ করা।
- কিডনি অথবা মূত্রাশয়ের আলট্রাসাউন্ড করানোর পরামর্শ দেওয়া হতে পারে, এই অঙ্গগুলিতে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না, তা দেখার জন্য।
নিম্নলিখিত পদ্ধতির সাহায্যে মূত্রে অম্লতার চিকিৎসা করা হয়:
- সুষম নিরামিষ আহার।
- ইউরিনারি অ্যালকানাইজিং এজেন্ট।
- ব্যথা উপশমকারী ওষুধপত্র।
- ভেষজ সম্পূরক পথ্য।
- প্রচুর পরিমাণে জল এবং তরল গ্রহণ।
- অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড অর্থাৎ ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট।