চীনাবাদাম গ্রাউন্ড নাট বা মেটে বাদাম হিসাবেও অভিহিত যা ফ্যাবাসিয়াই (বা ফ্যাবাসি) জাতির অন্তর্গত এবং এগুলোর ভোজ্য বীজের জন্য প্রধানতঃ চাষ করা হয়। অন্যান্য শস্য উদ্ভিদের থেকে আলাদা, চীনাবাদাম মাটির উপরে নয় মাটির নীচে জন্মায়।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে চীনাবাদাম ব্রাজিল অথবা পেরুতে প্রথম উদ্ভূত হয়েছিল যেখানে বুনো চীনাবাদামের প্রথম কর্ষকদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির অংশ হিসাবে সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়েছিল।
চীনাবাদাম প্রোটিন, তেল, এবং ফাইবার বা আঁশে অত্যন্ত সমৃদ্ধ বলে কথিত। সুতরাং এগুলো নিশ্চিতভাবে আপনার শরীর এবং সেই সাথে আপনার স্বাদ ইন্দ্রিয়গুলির পক্ষে একটা উপাদেয় খাবার।
অন্যান্য ক্রিয়ামূলক যৌগ যেমন পলিফেনল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজগুলিও এই কুড়মুড়ে বাদামগুলিতে বিদ্যমান। এটা চিহ্নিত করা হয়েছে যে চীনাবাদাম রেসভেরাট্রল, ফেনোলিক অ্যাসিডস, ফ্লেবোনয়েডস এবং ফাইটোস্টেরোলস-এর মত যৌগগুলির একটা উৎকৃষ্ট উৎস যা আমাদের খাদ্য থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের শোষণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং হার্ট সুস্থ রাখায় সহায়তা করে।
তেল উৎপাদন বাদে, এগুলো চীনাবাদামের মাখন, কেক-পেস্ট্রি জাতীয় খাবার, ভাজা চীনাবাদাম, স্ন্যাক দ্রব্য, স্যুপ, এবং মিষ্টান্ন উৎপাদনেও ব্যবহৃত হয়।
চীনাবাদাম সম্বন্ধে কিছু মৌলিক তথ্য:
- বিজ্ঞানসম্মত নাম: অ্যারাকিস হাইপোজিয়া
- প্রচলিত নাম(গুলি): চীনাবাদাম, (অ্যারাকিস হাইপোজিয়া), মেটে বাদামও বলা হয়, আর্থনাট, মুংগফলী
- জাতি: ফ্যাবাসিয়াই / লেগিউমিনোসি – শুঁটি জাতি
- প্রচলিত হিন্দি নাম: মুংগফলী (Munghphali)
- দেশীয় অঞ্চল এবং ভৌগোলিক বিস্তৃতি: চীনাবাদাম গাছ ব্রাজিল অথবা পেরুতে প্রথম উদ্ভূত হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়, যদিও এটা প্রমাণ করার জন্য কোনও জীবাশ্ম নথির অস্তিত্ব নেই। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকায় (3,500 বৎসর বা ওই রকম) মানুষজন চীনাবাদামের আকৃতির মৃন্ময় পাত্র তৈরি করে আসছেন। বিশ্বে চীন হল চীনাবাদামের বৃহত্তম উৎপাদক, তারপর ভারত। ভারতে, গুজরাট হচ্ছে চীনাবাদামের (বা মেটে বাদাম) বৃহত্তম উৎপাদনকারী রাজ্য তারপর অন্ধ্র প্রদেশ, তামিল নাড়ু, এবং কর্ণাটকের স্থান।
- মজার তথ্য: এক বয়াম চীনাবাদামের মাখন তৈরি করতে প্রায় 540টা চীনাবাদামের প্রয়োজন। জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার “দ্য পিনাট ম্যান” হিসাবে বিদিত কারণ তিনি তিনশোর বেশি খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করেছিলেন যেগুলো চীনাবাদাম থেকে সংগৃহীত ছিল।