বেসিল বা তুলসী কে “গাছড়ার রাণী” বা “জীবনের স্পর্শমণি” বলা হয়। অন্যান্য গাছড়ার মধ্যে এর একটি অতুলনীয় মর্যাদা রয়েছে এর ঔষধীয়, রন্ধন বিষয়ক এবং আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্যের জন্য। তুলসী তিনটি ধরণের হয়। রাম তুলসী যার সবুজ পাতা, কৃষ্ণ তুলসী যার বেগুনি পাতা এবং বন তুলসী যেটি একটি বুনো ধরণ এবং এর হালকা সবুজ পাতা
তুলসী গাছ ভারতে বৈদিক কাল থেকে ফলানো হয়ে আসছে এবং হিন্দুরা এটিকে পবিত্র মনে করে। এটি সাধারণত মন্দিরের আশেপাশে রোপণ করা হয় এবং বেশিরভাগ ভারতীয় বাড়িতে পাওয়া যায়। তুলসী গাছের মাপ এবং রঙ ভূগোল, বৃষ্টিপাত এবং গাছের ধরণের ওপর নির্ভর করে।
রান্না থেকে ওষুধ অবধি এর বিস্তৃত ব্যাপ্তি রয়েছে ব্যবহারে। তুলসীর সুগন্ধ এবং তিক্ত স্বাদ সালাদ এবং সসের সাথে খেলে জিভে জল চলে আসে। প্রাচীনকালে তুলসীকে শুদ্ধতার প্রতিক ধরা হত। বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী গাছের সামনে গিয়ে এর ঘ্রাণ নিলেই অনেক ধরণের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আধ্যাত্মিক মর্যাদার কারণে তুলসীকে পবিত্র তুলসী বলা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদে, তুলসী পরিচিত বিস্তৃত স্বাস্থপকারিতার প্রদানকারী হিসেবে। তুলসীর জীবাণু-বিরোধী, প্রদাহ-বিরোধী, বাত-বিরোধী, কেমো-প্রতিরোধী, যকৃৎ সুরক্ষাকারী, ডায়বিটিস-বিরোধী, হাঁপানি-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তুলসীর ব্যপারে কিছু মৌলিক তথ্যঃ
- বোটানিকাল নামঃ অসিমাম সাঙ্কটাম
- পরিবারঃ লামিয়াসি
- প্রচলিত নামঃ তুলসী
- সংস্কৃত নামঃ তুলসী
- অন্যান্য নামঃ পবিত্র তুলসী, রাম তুলসী, শ্যাম তুলসী
- উৎস এবং ভৌগোলিক অবস্থানঃ তুলসী ভারতের স্থানীয় এবং এটি মধ্য আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলেও পাওয়া যায়।
- মজাদার তথ্যঃ পরিবেশবিদ এবং বৈজ্ঞানিকেরা তাজ মহলের পাশে দশ লাখ তুলসী গাছ পুঁতেছেন এই স্মৃতিস্তম্ভটিকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে।