কর্পূর হল কর্পূর গাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত একটা প্রাকৃতিকভাবে ঘটা রাসায়নিক যৌগ। মোমতুল্য কর্পূর বলগুলি প্রধানতঃ তার্পিন (গাছপালা দ্বারা উৎপন্ন জৈব যৌগ) দিয়ে গঠিত যা এর তীব্র গন্ধের জন্য দায়ী। প্রকৃতিতে, এই তার্পিনগুলি হচ্ছে গাছপালাগুলির মধ্যে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার্পিন বিষাক্ত যখন খাওয়া হয়, সুতরাং, এর গন্ধ তৃণভোজী প্রাণীদের দ্বারা খাওয়া থেকে কর্পূর গাছকে রক্ষা করে। কিন্তু কর্পূরের উপযোগিতা প্রচুর।
পরম্পরাগত এবং পাশ্চাত্য ঔষধ ব্যবস্থাগুলিতে কর্পূর এর ঔষধি এবং নিরাময়কারী গুণাবলীর জন্য সুপরিচিত। এটা কোনও শরীরগত তরল অস্বাভাবিক জমা হেতু অবরুদ্ধ অবস্থা, ব্যথা, এবং প্রদাহের মত বিভিন্ন দশার জন্য একটা পরম্পরাগত প্রতিষেধক। বস্তুতঃ কিছু গবেষণা বলে যে কর্পূর পোড়া এবং ছত্রাকঘটিত সংক্রমণগুলি নিরাময়ে কার্যকর হতে পারে।
মূলতঃ ভারত, চীন এবং জাপানের একটা দেশজ, কর্পূর বিশ্বের বেশির ভাগ ক্রান্তীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। কৌতূহলজনকভাবে, ‘গ্লোবাল ইনভেসিভ স্পিশিজ ডেটাবেস’-এ একে একটা বিনাশকারী গাছ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
কর্পূর 60 ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বেড়ে ওঠা একটা চিরহরিৎ গাছ। কর্পূর গাছ দেশীয় বনজঙ্গলগুলিকে ছাপিয়ে যেতে পারে এবং বেশ দ্রুতভাবে বিস্তৃত হয়। এর শাখাগুলি বিস্তার-প্রবণ, গাছটাকে একটা ছাতা-সদৃশ চেহারা দেয়। কর্পূর গাছে ডিম্বাকৃতি পাতা এবং ক্ষুদ্র সাদা ফুল ধরে। এর ফল আকারে গোল এবং সাধারণতঃ ময়ূরপঙ্খী থেকে কালো রঙের হয়।
আপনি কি জানতেন?
কর্পূর শুধুমাত্র একটা গাছ নয়, এটা একটা তেল এবং একটা রাসায়নিক যৌগও। একটা রাসায়নিক যৌগ হিসাবে, ল্যাভেন্ডার, ক্যাম্ফর বেসিল এবং রোজমেরির মত গাছগুলির এসেনশিয়াল অয়েল থেকে এটা পাওয়া যেতে পারে।
ক্যাম্ফর (কর্পূর) লরেল বা ক্যাম্ফর (কর্পূর) গাছ সম্বন্ধে কিছু মৌলিক তথ্যঃ
- উদ্ভিদবিজ্ঞানসম্মত নাম: সিনামোমাম ক্যাম্ফোরা
- জাতি: লরেসিয়াই
- প্রচলিত নাম: ক্যাম্ফর (কর্পূর) লরেল, ক্যাম্ফর (কর্পূর) , ক্যাম্ফর (কর্পূর) গাছ, কপূর
- ব্যবহৃত অংশ: পাতা, ছাল
- দেশীয় অঞ্চল এবং ভৌগোলিক বিস্তৃতি: কর্পূর জাতি চীন, ভারত এবং জাপানের মত ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলির দেশজ, কিন্তু এটা ইউএসএ-তেও প্রবর্তিত হয়েছে, বিশেষ করে ফ্লরিডায়।
- কর্মশক্তি: শীতলকরণ