ধূমপানের নেশা কি ?
ধূমপানের নেশা হলো দীর্ঘ সময় ধরে শরীরিক ভাবে ধুমপানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরা। গবেষনা বলছে যে যেসব ব্যক্তিরা জীবনে খুব কম বয়স থেকে ধূমপান করতে শুরু করেছেন তাদেরই ধুমপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি। দেখা গেছে কেবলমাত্র 6% ধূমপানকারী ব্যক্তি ধূমপান ত্যাগ করতে সফল হয়েছেন।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি ?
যদিও ধূমপানকারীরা মনে করেন যে ধূমপান তাদের স্বাভাবিকভাবে শান্ত করে তোলে, কিন্তু এর ফলে পরে কাশি, ফুসফুসে সংক্রমণ, ক্যান্সারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমাস্যা হতে পারে এমনকি এর ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে যেকোনো নেশা বা আসক্তির ক্ষেত্রে, যখন কোন ব্যক্তি নেশা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তখন নীচে দেওয়া প্রত্যাহার করার উপসর্গগুলি দেখতে পাওয়া যায়ঃ
- অবাঞ্ছিত মন খারাপ হওয়া।
- রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
- মনোযোগের অভাব দেখা দেওয়া।
- হৃদস্পন্দনের গতি কমে যাওয়া।
- অতিরিক্ত খিদে পাওয়া ও ওজন বৃদ্ধি।
- ঘুমাতে না পারা বা অনিদ্রা।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি ?
ধূমপানের নেশা প্রধানত মানসিক ও আবেগপ্রবন উত্তেজনার সাথে জড়িত। কেউ কেউ চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য; আবার কেউ অন্য কিছুর চাপ কমাতে ধূমপান শুরু করেন। একবার ধূমপান শুরু করলে শরীর নিকোটিনের প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে এবং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ফলে ধূমপানের হার বৃদ্ধি পায়। ফলে, একজন ব্যক্তি, শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাবে নির্ভরশীল হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত নেশাগ্রস্থ হয়ে পরে।
কিভাবে এর নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয় ?
রোগীর ধূমপানের আসক্তির উপসর্গ দেখে ও তাদের ইতিহাস জিজ্ঞাসা করার মাধ্যমে রোগীর ধূমপানের আসক্তি নির্ণয় করা হয়।নিকোটিনের মাত্রা পরিমাপ করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হতে পারে। মুত্র, লালা ও চুলের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতি
বিভিন্ন এফডিএ- অনুমদিত চিকিৎসা পদ্ধতি আসক্তি চক্র থেকে বিচ্ছেদ ঘটাবে। চিকিৎসক নিকোটিনের ওপর নির্ভরতা বা সিগারেট ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সাধারণত গাম ও প্যাচের মতো নিকোটিনের পরিবর্তন থেরাপি গ্রহণের পরামর্শ দেবেন।
ওষুধের থেরাপির সঙ্গে আচরনগত থেরাপির মতো কিছু ওষুধবিহীন পদ্ধতি ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করতে পারে। ধূমপানের নেশা থেকে দূরে থাকতে নিজেকে কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন যা আপনাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে সাহায্য করবে। পরামর্শ দান আপনাকে ভালোভাবে চিন্তার সাথে আপোষ করার পক্রিয়া শেখাতে সাহায্য করবে।