চর্ম রোগ (ত্বকের রোগ) কি?
ত্বক বা চামড়া হল সুরক্ষাদায়ক এবং মানব শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। ত্বকে অস্বস্তি সৃষ্টিকারী যে কোনও উপাদান থেকে ফোলাভাব, চুলকুনি, জ্বালা এবং লালচেভাব দেখা দেয়, যা ত্বকের আকারকে প্রভাবিত করে। অসুখ অথবা সংক্রমণের কারণেও ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। ত্বকের পিগমেন্ট, সংবেদনশীলতা, আঁশের মতো ছাল ওঠা বৃদ্ধি/হ্রাস থেকে শুরু করে ফোস্কা, মাংসপিণ্ড, ফুসকুড়ি আকারে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গ কি?
চর্মরোগের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি হল:
- ঘা।
- উন্মুক্ত ক্ষত।
- শুকনো চামড়া।
- পূঁয জমা।
- চামড়ার রঙ পরিবর্তন।
- ফোঁড়ার মতো ওঠা।
- চুলকুনি অথবা যন্ত্রণাদায়ক ফুসকুড়ি।
- দাগ।
- লাল রঙয়ের ফোলা দাগ।
- খোস পাঁচড়া।
- চামড়ায় ফিকে ছোপ।
- লালচেভাব।
- জল ভর্তি ফোস্কা।
- কাটা আঘাত।
- বলিরেখা।
- মাংসপিণ্ড।
- ফুসকুড়ি।
- সংবেদনশীলতা।
- ফোলাভাব।
এর প্রধান কারণ কি?
চর্মরোগের প্রধান কারণগুলি হল:
- ওষুধ, খাদ্য, পরাগ অথবা পোকামাকড়ের কামড় থেকে অ্যালার্জি।
- বয়স।
- গর্ভাবস্থা।
- ত্বকের ক্যান্সার।
- থাইরয়েড, লিভার অথবা কিডনির অসুখ।
- দুর্বল রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা।
- অপরিচ্ছন্ন ত্বক।
- জিনগত কারণ।
- ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
- ত্বকে জ্বালা ধরে এমন রায়ায়নিক।
- পোড়া।
- রোদের প্রতি সংবেদনশীলতা।
- জরুল বা জড়ুল।
- মধুমেহ রোগ।
- ভাইরাস, ছত্রাক অথবা ব্যাকটিরিয়া।
- অটোইমিউন অসুখ, যেমন – লুপাস।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াও চিকিৎসাজনিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে নিম্নলিখিত উপায়ে চর্মরোগ নির্ণয় করা হয়:
- প্যাচ টেস্ট – সংক্রমণের উপস্থিতি এবং কোনও উপাদানের প্রতি প্রতিক্রিয়া সনাক্ত করতে।
- কালচার টেস্ট – অসুখের কারণ হিসেবে দেখা দেওয়া ছত্রাক, ব্যাকটিরিয়া অথবা ভাইরাস চিহ্নিত করতে।
- ক্যান্সার টিস্যু এবং ক্ষতিকারক নয় এমন টিউমার ধরতে ত্বকের বায়োপসি।
চর্মরোগের চিকিৎসা অন্তর্নিহিত কারণের ওপর ভিত্তি করে হয়। চর্মরোগের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ওষুধপত্র সাধারণত ব্যবহার করা হয়:
- টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েড।
- টপিকাল অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ও মলম।
- ওরাল স্টেরয়েড এবং অ্যান্টিবায়োটিক।
- আল্ট্রাভাওলেট (ইউভি)-এ1।
- ন্যারোব্যান্ড ইউভি-বি লাইট।
- অ্যান্টি-হিস্টামিন।
- ক্রিম ও মলম।
- অ্যান্টিফাংগাল স্প্রে।
- এক্সাইমার লেজার থেরাপি।
- দোকান থেকে কেনা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট।
- প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ।
- মধুর মতো ঘরোয়া পথ্য।
- ব্লু লাইট ফোটোডাইনামিক থেরাপি।
- আকুপাংচার।
- সোরালেন অ্যান্ড ইউভি লাইট এ (পিইউভিএ)।
- অস্ত্রোপচার।
- স্টেরয়েড অথবা ভিটামিন ইঞ্জেকশন।
- মেডিকেটেড মেকআপ।