নিউমোনাইটিস কি?
রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থার অসুখ এবং অ-সংক্রামক কারণে ফুসফুসের টিস্যুতে হওয়া প্রদাহকে নিউমোনাইটিস বলে। কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের সঙ্গে সংযোগের ফলে দীর্ঘস্থায়ী অথবা ক্ষণস্থায়ী প্রদাহ এবং তা থেকে ফুসফুসের কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ার কারণে এটি হয়। সঠিক সময়ে যথাযথভাবে না সামলানো গেলে, এটি ফুসফুসকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসরগুলি কি কি?
নিউমোনাইটিসের লক্ষণ এবং উপসর্গ হল:
- শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা।
- জ্বর।
- ক্লান্তি।
- কাঁপুনি।
- বুকে শক্তভাব।
- শুকনো কাশি।
- খিদে কমে যাওয়া।
- ওজন হ্রাস।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
আশেপাশের নির্দিষ্ট কিছু পদার্থের সংস্পর্শে একটানা এবং বারবার আসার ফলে নিউমোনাইটিস হতে পারে, যার ফলে ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। দেহে নিম্নলিখিত কোনও একটি উপাদানের উপস্থিতির কারণে, যাতে নিমোনাইটিস সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে, ফুসফুসের প্রদাহরূপে শরীর অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া উৎপন্ন করতে পারে:
- প্রোটিন।
- রসায়ন পদার্থ।
- খড়।
- পশুখাদ্য।
- দূষিত খাবার।
- এয়ার কন্ডিশনার এবং ভেন্টিলেশন সিস্টেম।
- পশুর লোম।
- পাখির পালক অথবা মল।
- কাঠের গুঁড়ো।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসক নিম্নলিখিত রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষাগুলি করানোর পরামর্শ দেবেন:
- শ্বেত রক্তকণিকা এবং অন্যান্য রোগপ্রতিরোধক কণিকার উচ্চমাত্রা চিহ্নিত করার জন্য রক্ত পরীক্ষা।
- ফুসফুসের স্পষ্ট ছবি পাওয়ার জন্য সিটি স্ক্যান এবং বুকের এক্স-রে।
- ফুসফুসের কার্যকারিতা দেখার জন্য লাং ফাংশন টেস্ট।
- শ্বেত রক্তকণিকার উপস্থিতি দেখার জন্য ফুসফুস থেকে সংগ্রহ করা তরলের পরীক্ষার জন্য ব্রঙ্কোঅ্যাল্ভিওলার ল্যাভেজ।
নিউমোনাইটিসের চিকিৎসা পদ্ধতি:
- কর্টিকোস্টেরয়েড এবং অন্য ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধ।
- শ্বাসের অভাবের পরিচালনায় অপিওডসের ব্যবহার।
- ফুসফুসের পেশীকে আরাম দেওয়ার জন্য ব্রঙ্কোডাইলেটর।
- অক্সিজেনের সরবরাহের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য অক্সিজেন থেরাপি।
সমস্যা মোকাবিলার অন্য়ান্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে - আশপাশ থেকে অ্যালার্জেন সরানো, অ্যালার্জেন থেকে দুরে থাকা এবং কাজের জায়গা পরিবর্তনের মতো পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে এই ধরনের অবস্থা এড়ানোর জন্য।