সারাংশ
নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের একটা সংক্রমণ যাতে অ্যালভিওলাই নামে কথিত ফুসফুসের ক্ষুদ্র বায়ুভরা থলিগুলিতে তরল এবং পূঁজ জমা হয়। এটা একটা বা উভয় ফুসফুসকে আক্রমণ করতে পারে। নিউমোনিয়া জীবাণুঘটিত, ছত্রাকঘটিত, ভাইরাসঘটিত (বিষাক্ত) এবং অন্যান্য কম পরিচিত ধরণের সংক্রমণ সহ অনেক অন্তর্নিহিত কারণের সাথে যুক্ত থাকে। উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে কাশি, কাঁপুনিসহ জ্বর, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট। এই উপসর্গগুলি মৃদু, মাঝারি, অথবা তীব্র হতে পারে। সংক্রমণের তীব্রতা সংক্রমণ ঘটানো অণুজীব (ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস), আক্রান্ত ব্যক্তির সার্বিক স্বাস্থ্য এবং সেই সাথে বয়স ইত্যাদির মত বহু বিষয় দ্বারা নির্ধারিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসাগত (মেডিক্যাল) ইতিহাস, ল্যাবোরেটোরি পরীক্ষা এবং অন্যান্য রোগ লক্ষণ সংক্রান্ত এবং ইমেজিং (ছবি তোলা) পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে রোগের উপসর্গ নির্ণয় নিশ্চিত করা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করছে সংক্রমণের ধরণের উপর যা নিউমোনিয়া ঘটায়। যদি নিউমোনিয়া কোনও ভাইরাসঘটিত সংক্রমণের কারণে ঘটে, কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রযুক্ত হয়না এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্য সচরাচর নিজের থেকেই ভাল হয়ে যায়। জীবাণুঘটিত নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যবহার করা হয়। যদিও নিউমোনিয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে অথবা ডাক্তারের ক্লিনিকের বাইরে চিকিৎসা করা হয়, কোনও গুরুতর সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তির দরকার হতে পারে। রোগটার জটিলতাগুলির মধ্যে থাকতে পারে ফুসফুস ফোলা (পূঁজ সৃষ্টি), শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত বিকলতা, অথবা সেপসিস (রক্তের সংক্রমণ), যা প্রায়ই একাধিক অঙ্গের বিকলতার দিকেও নিয়ে যেতে পারে। যেসমস্ত ব্যক্তি এমনিতেই স্বাস্থ্যবান যদি দ্রুত চিকিৎসা এবং তত্ত্বাবধান শুরু করা হয় সাধারণতঃ দ্রুত নিরাময় দেখাতে পারেন। যাই হোক, পাঁচ বৎসর বয়সের নীচে থাকা শিশুরা এবং 65 বৎসর বয়সের বেশি বয়স্কদের পক্ষে নিউমোনিয়া বেশি গুরুতর হওয়ার প্রবণ হয়। দীর্ঘ-মেয়াদী রোগে ভোগা ব্যক্তিরা, বিশেষতঃ কিডনি, ফুসফুস কিংবা হার্টের রোগীরা, এবং যাঁদের দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে, নিউমোনিয়া গুরুতর হওয়ার প্রবণতা থাকে।