সারাংশ
হাইপারইউরিসিমিয়া হল একটা স্বাস্থ্য সমস্যা যাতে শরীরে একটা অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড থাকে। প্রোটিনগুলি ভাঙার পর শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। যখন প্রোটিনগুলি ভেঙে যায়, সেগুলির মধ্যে থাকা পিউরিনস বলে কথিত রাসায়নিক যৌগ ভেঙে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। তিনটি প্রধান কারণে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রায় বৃদ্ধি হতে পারে – ইউরিক অ্যাসিডের একটা বর্ধিত উৎপাদন, ইউরিক অ্যাসিডের কমে যাওয়া নিঃসরণ (বার হওয়া), অথবা এই দুটো প্রক্রিয়ার একটা সংমিশ্রণ।
কোনও উপসর্গ ছাড়াই (এসিম্পটোম্যাটিক) হাইপারইউরিসিমিয়া হতে পারে কিংবা এর আনুষঙ্গিক উপসর্গসমূহ (সিম্পটোম্যাটিক) থাকতে পারে। অনেক মেডিক্যাল পরিস্থিতি আছে যা আনুষঙ্গিক উপসর্গগুলির সাথে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রায় একটা বৃদ্ধির ফলস্বরূপ হতে পারে। এর মধ্যে আছে ইউরিক অ্যাসিড নেফ্রোপ্যাথি (প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার কারণে কমা কিডনির ক্রিয়াকলাপ), গেঁটেবাত (রক্তে চলাচলকারী ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার কারণে জোড় বা গাঁটগুলিতে ইউরেট ক্রিস্টাল জমা), এবং ইউরিক অ্যাসিড নেফ্রোলিথায়াসিস (ইউরিক অ্যাসিড কিডনির পাথর)। যখন হাইপারইউরিসিমিয়ার সাথে কোনও আনুষঙ্গিক উপসর্গ না থাকে, চিকিৎসার সাধারণতঃ পরামর্শ দেওয়া হয়না, কিন্তু লাক্ষণিক (সিম্পটোম্যাটিক) হাইপারইউরিসিমিয়ার ক্লিনিক্যাল উপস্থাপনা অনুযায়ী চিকিৎসার দরকার। হাইপারইউরিসিমিয়ার জটিলতার মধ্যে আছে গেঁটেবাত, অ্যাকিউট (তীব্র কিন্তু অল্পস্থায়ী) ইউরিক অ্যাসিড নেফ্রোপ্যাথি, ইউরিক অ্যাসিড নেফ্রোলিথায়াসিস, এবং ক্রনিক রেনাল ইনসাফিসিয়েন্সি (কিডনিগুলির দুর্বল ক্রিয়াকলাপ)।