আরএসভি সংক্রমণ (রেস্পিরেটরি সিঙ্কসাইটাল ভাইরাস) কি?
আরএসভি হলো একটি সাধারণ এবং অত্যন্ত ছোঁয়াচে সংক্রমণ যা সাধারণত 2 বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এটি একটি হালকা সংক্রমণ হতে পারে যা সাধারণ ঠান্ডা লাগার মত হয়, অথবা এটি কিছু ক্ষেত্রে তীব্র হতে পারে অবস্থা মারাত্মক পর্যায় চলে যেতে পারে। যে সব শিশুর বয়স 2 বছরের কম বা যে সব শিশুরা সময়ের আগে জন্মেছে তাদের আরএসভি সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি প্রবল মাত্রায় থাকে।
এটির প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
আরএসভি সাধারণ লক্ষণগুলির সাধারণ ঠান্ডা লাগার সাথে মিল রয়েছে, কিন্তু শিশুর অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে যেমন:
- কাশি যার সঙ্গে হলদে বা ধুসর রঙের শ্লেষ্মা থাকবে।
- শ্বাস নিতে কষ্ট।
- ডিহাইড্রেশন।
- শুশ্রুষা বা খাওয়ার ব্যাপারে অনিচ্ছা।
- নির্জীব বা নিষ্ক্রিয়তা।
- বিরক্তিভাব।
- হালকা জ্বর এবং মাথাব্যথা।
এর প্রধান কারণ কি?
ভাইরাস মুখ, চোখ বা কানের মধ্যে দিয়ে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে। শিশুদের এই রোগটি সরাসরি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারণে হয় বা পরোক্ষভাবে সংক্রমিত ব্যক্তির জিনিষপত্র ধরার কারণেও হয়। এই ভাইরাসটি সংক্রমিত শিশুর শরীরের মধ্যে অনেক সপ্তাহ ধরে থাকতে পারে, এবং এটি প্রথম কিছু দিন প্রচণ্ড ছোঁয়াচে থাকে।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিত্সা করা হয়?
আরএসভি সংক্রমণ সাধারণত কিছু সাধারণ শরীরিক পরীক্ষা এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হলে তা পরীক্ষা করেই নির্ণয় করা যায়। আরো পরীক্ষার মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে বা নাক দিয়ে নিঃসরণের পরীক্ষা থাকতে পারে।
কিছু মারাত্মক ঘটনার ক্ষেত্রে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে, তাছাড়া বাকি ক্ষেত্রে আরএসভি সংক্রমণের চিকিত্সা বাড়িতেই পরিচালনা করা যায়। জ্বরের ওষুধ, নাক পরিষ্কার করতে ড্রপ, এবং অ্যান্টিবায়োটিক্স হলো সবথেকে সাধারণ চিকিত্সা। বাড়িতে হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার করে বাতাসকে আদ্র রাখলে সুবিধা হবে, শিশুর শরীরে জলের পরিমাণ সঠিক রাখতে হবে এবং নিয়মিতভাবে অল্প সময় পরপরই শিশুকে খাওয়াতে হবে। যদি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাহলে চিকিত্সক IV তরল এবং অক্সিজেন ব্যবহার করতে পারে শিশুকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য।