সারাংশ
ঘাড়ে ব্যাথা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যে বিষয় নিয়ে তিনজন মানুষের মধ্যে একজন অভিযোগ জানান। ঘাড়ের ব্যাথার কারণ হতে পারে ঘাড়ে খুব সাধারণ মাংশপেশিতে টান অথবা জটিল কোনও পরিস্থিতি, যেমন কশেরুকার স্নায়ু সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া। শিরদাঁড়ার হাড়ের (ভার্টিবা)অসুখ, গেঁটে বাত (আর্থারাইটিস), সারভাইকাল স্পন্ডিলসিস এবং অন্যান্য শারীরিক পরিস্থিতি থেকে ঘাড়ের ব্যাথা হতে পারে, যার অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন। বিশেষত একাধিক সন্তানের মা এবং যাঁদের দুর্বল শরীর তাঁদের ঘাড়ের ব্যাথার ঝুঁকি বেশি থাকে। সাধারণত কোনও দুর্ঘটনার পর ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে, যাকে বলা হয় ‘হুইপল্যাশ’, তার উপসর্গ দীর্ঘবছর ধরে থাকে। ঘাড়ের ব্যাথার চিকিৎসার বিভিন্ন রকমফের আছে এবং তা রোগের মূল কারণের ওপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময়ে ঘাড়ের ব্যাথার নিরাময় এক সপ্তাহের মধ্যে হয়। খুবই কম সময়ে তা বছর বছর থেকে যায়। ঘাড়ের ব্যাথার চিকিৎসার মূল কৌশল ব্যায়াম, ধ্যান, এবং সঠিক শারীরিক অঙ্গবিন্যাস। সমস্ত বিকল্প ব্যর্থ হলে তখনই একমাত্র অস্ত্রোপচারের কথা ভাবা হয়। দীর্ঘস্থায়ী ঘাড়ের ব্যাথার জন্য, একযোগে একাধিক কৌশল নেওয়া হয় যের মধ্যে থাকে ব্যায়াম, পেশি শক্ত করার প্রশিক্ষণ, ধ্যান এবং জীবনধারায় পরিবর্তন।