কিডনি ক্যান্সার কি?
কিডনি ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রায় 90-95% কিডনি ক্যান্সারগুলি রেনাল সেল কার্সিনোমার বিভিন্ন ধরন। এই রোগটি বেশিরভাগ বৃদ্ধ মানুষদের প্রভাবিত করে; তবে, বংশগত কারণে তরুণরাও প্রভাবিত হতে পারে। শিশুদের মধ্যে কিডনি ক্যান্সার অত্যন্ত বিরল। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্দিষ্ট লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা যায় না, যা এটির নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা কঠিন করে তোলে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গ গুলো কি কি?
রোগটি একটি উন্নত পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত অস্পষ্ট রয়ে যায়। তাই বেশিরভাগ রোগীর লক্ষণ দেখা যায় না। এই তিনরকম লক্ষণের উপস্থিতি একটি সতর্কতা চিহ্ন:
- মূত্রের সঙ্গে রক্ত পড়া
- পিঠের নিচের দিকে একদিকে/দুদিকেই ব্যথা বা পেটে ব্যথা (আরও পড়ুন: পিঠে ব্যথার কারণ)
- পেটে একটি শক্ত পিণ্ডের উপস্থিতি
অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে আছে ওজন হ্রাস, যা হঠাৎ এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়; ক্ষুধামান্দ্য; অলসতা; এবং জ্বর। প্রায়শই, কোন লক্ষণ দেখা যায়না এবং অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করা ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি ধরা পরে।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
কিডনি ক্যান্সার হওয়াকে একটি কারণের জন্য দায়ী করা যাবে না। বেশ কিছু কারণ রেনাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। সেগুলি হলো:
- ধূমপান, যা ঝুঁকি টাকে দ্বিগুণ করে দেয়।
- স্থূলতা এবং তার সাথে 30 বডি মাস ইনডেক্স (BMI)।
- হাইপারটেনশন।
- বেনজিনের মতো সুগন্ধযুক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে।
- দীর্ঘমেয়াদী ডায়ালিসিস।
- কিডনি প্রতিস্থাপন করা হলে।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
কিডনি ক্যান্সার খুব কম উপসর্গের সাথে আসে, তবে রেনাল সেল কার্সিনোমা, উচ্চ ক্যালসিয়াম স্তর এবং লাল রক্তের কোষ বৃদ্ধি সহ বহু সংখ্যক প্যারেনোপ্লাস্টিক সিনড্রোমের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পরীক্ষাগুলি ক্লিনিকাল ইতিহাস এবং পরীক্ষা দিয়ে শুরু হয়। কোনও সম্ভাব্য কিডনি রোগের সন্দেহ থাকলে, রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। যদি ক্যান্সার সন্দেহ করা হয় অথবা পেটের মধ্যে একটি পিন্ড সনাক্ত করা হয়, তাহলে এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পদ্ধতিগুলির প্রয়োজন হতে পারে।এছাড়া, অ্যাস্ট্রাসাউন্ড, পিইটি স্ক্যান এবং বুকে এবং হাড়ের এক্স-রে করা হতে পারে মেটাস্টাসিসের পরিমাণ বোঝার জন্য।
কিডনি ক্যান্সারের পর্যায়ের ওপর চিকিৎসার ধরন নির্ভর করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হয় যেখানে টিউমার আকারের উপর নির্ভর করে কিডনির একটি অংশ বা পুরো কিডনি কেটে বাদ দিতে হতে পারে। এটা কেমোথেরাপির সঙ্গে একসাথে করা হতে পারে।