সারাংশ
মানব দেহে লাল রক্ত কোষ'এর (আর-বি-সি) সংখ্যা বা হিমোগ্লোবিন'এর ঘনত্ব হ্রাস হলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে অ্যানিমিয়া বলা হয়। অ্যানিমিয়া বিভিন্ন প্রকারের হয়, যেমন, লোহা কম থাকার কারণে অ্যানিমিয়া, মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, এবং আরও অনেক। অ্যানিমিয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন, পরজীবী সংক্রমণের কারণে অধিক রক্তক্ষরণ, মাসিক-কালীন ভারী রক্ত প্রবাহ, গর্ভাবস্থা এবং অপুষ্টি। অ্যানিমিয়ার উপসর্গগুলি হল ক্লান্তি, দুর্বলতা, ফ্যাকাসে চামড়া এবং শ্বাসের অসুবিধা। এটা ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যেতে পারে, যেমন কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট সহ হিমোগ্লোবিন এবং লাল রক্ত কোষ'এর সংখ্যা, পরজীবী সংক্রমণ আছে কি না জানার জন্য মল পরীক্ষা, এবং এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হলে হাড়ের মজ্জা পরীক্ষা। অ্যানিমিয়ার চিকিৎসা এর হওয়ার কারণের উপরে নির্ভর করে। অপুষ্টির কারণে অ্যানিমিয়া হলে চিকিৎসার সাথে সাথে সঠিক খাদ্য এবং লৌহ পরিপূরক দিতে হবে। গুরুতর অ্যানিমিয়া হলে সম্পূর্ণ রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হবে। এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বা দীর্ঘ স্থায়ী অ্যানিমিয়া থাকলে হাড়ের মজ্জা প্রতিস্থাপনই সর্বশেষ চিকিৎসা। অন্তর্নিহিত কারণের উপরে অ্যানিমিয়ার অবস্থা নির্ভর করে। যে হেতু বেশির ভাগ কারণই চিকিৎসার দ্বারা উপশম করা যায়, তাই ফলাফল ভালই হয়। যদি রোগ নির্ণয় না হয়, তাহলে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে যেমন সময়ের পূর্বেই প্রসব, নবজাতক শিশুর অ্যানিমিয়া, জন্মের সময়ে ওজন কম, খিঁচুনি এবং দেহের অঙ্গের ক্ষতি, ইত্যাদি।