কব্জিতে ব্যথা কি?
কব্জিতে ব্যথা কোনও অন্তর্নিহিত সমস্যা বা আঘাতের উপসর্গ হতে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
কব্জিতে ব্যথার সঙ্গে যুক্ত উপসর্গগুলি হল:
- ফোলাভাব।
- সংবেদনশীলতা।
- প্রদাহ।
- মুঠো করার ক্ষমতা হারানো।
- কবজি নড়লে ক্লিকের মতো শব্দ হওয়া।
- ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি।
- কব্জির সন্ধি নাড়াতে সমস্যা।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
কব্জিতে ব্যথার কারণগুলি হল:
- শরীরের যান্ত্রিক কারণ।
- লিগামেন্ট বা সন্ধিবন্ধনী ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে।
- হাড় ভেঙে যাওয়া।
- স্নায়বিক কারণ।
- স্নায়ুতে আঘাত, যেমন কারপেল টানেল সিন্ড্রোম এবং গায়নের ক্যানাল সিন্ড্রোম।
- পদ্ধতিগত কারণগুলি
- রক্ত সম্বন্ধনীয় রোগসমূহ, যেমন লিউকেমিয়া এবং মেলোমা।
- যক্ষ্মা।
- বিপাকীয় সমস্যাগুলি, যেমন ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, অস্থিসন্ধির বাত, সিউডোগাউট, গর্ভাবস্থা, ক্যালশিয়ামের অভাব এবং হাইপোথাইরয়েডিজম।
এই রোগের নির্ণয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি কি?
70% ক্ষেত্রে কব্জিতে ব্যথার কারণ জানার জন্য বিস্তারিত চিকিৎসাগত ইতিহাস খুবই প্রয়োজনীয়। রোগ নির্ণয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেকগুলি বিশেষ ধরণের পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। থেরাপির পরামর্শ দেওয়ার আগে চিকিৎসক রোগের প্রকৃতি, সময়কাল এবং তীব্রতা যাচাই করার চেষ্টা করেন। নীচে আলোচিত পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়:
- হঠাৎ করে ব্যথা শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে, আঘাত বা যে কাজের জন্য বারংবার কব্জির ব্যবহার হয় সেই কারণটি খুঁজে বার করা হয়।
- ইমেজিং পদ্ধতিরও ব্যবহার করা হতে পারে, যেগুলি হল:
- সিটি স্ক্যান।
- এমআরআই স্ক্যান।
- আলট্রাসোনোগ্রাফি।
- চিকিৎসক কিছু বিশেষ ধরণের পরীক্ষা যেমন, ম্যাক মুরের পরীক্ষা, ওয়াটশনের পরীক্ষা, দ্য সুপিনেশন লিফট টেস্ট এবং গ্রাইন্ড টেস্ট করে রোগ নির্ণয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
কব্জিতে ব্যথা হওয়ার কারণের উপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসক নীচে আলোচিত পদ্ধতিগুলির পরামর্শ দিতে পারেন:
-
যদি আঘাত লেগে থাকে, তাহলে কব্জির বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। ফোলা অংশে বরফের সেঁক এবং ব্যথা কমানোর জন্য কিছু সাধারণ ব্যথা উপশমকারী ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রদাহ থাকাকালীন কোনরকম শরীরচর্চা করা কোনভাবেই চলবে না।
-
সংক্রামক নয় এমন আর্থারাইটিসের ক্ষেত্রে, ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত বলকারক এবং শরীরের নমনীয়তা রক্ষাকারী ব্যায়ামের পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও, প্রদাহ থাকাকালীন কোনও ধরণের ব্যায়াম করা থেকেই বিরত থাকতে হবে।