ভাইরাল ইনফেকশন কি?
যখন শরীরের স্বাস্থ্যবান কোষগুলোতে ভাইরাস আক্রমণ করে এবং নিজেদের সংখ্যাবৃদ্ধি করে তখন ভাইরাস ইনফেকশন হয়। এই ভাইরাস স্বাস্থ্যবান কোষগুলোর ক্ষতি করতে পারে, পরিবর্তন করতে পারে বা এমনকি মেরেও ফেলতে পারে এবং যদি আপনার এই ভাইরাসগুলির সাথে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকে তবে এটা আপনাকে সহজেই অসুস্থ করতে পারে। সাধারণত যকৃৎ, শ্বাসনালী এবং রক্ত এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়। কিছু কিছু ভাইরাস মারাত্বক অসুস্থতা ঘটায় যেমন, ইবোলা এবং স্মলপক্স।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি কি?
ভাইরাল ইনফেকশনের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো হল:
ভাইরাল ইনফেকশনের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো যে ভাইরাস ইনফেকশন সৃষ্টি করেছে তার ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
এর প্রধান কারণগুলো কি কি?
ভাইরাল ইনফেকশনের কারণগুলো হল:
- একজন অসুস্থ ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে।
- একজন অসুস্থ ব্যক্তির হাত বা টিস্যু, জামাকাপড় ইত্যাদি ব্যবহৃত জিনিসগুলির সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে।
- মলের মত দূষিত পদার্থের সংস্পর্শের মাধ্যমে।
- ন্যাপিস, টয়লেটের হাতল, খেলনা এবং কলের মত দূষিত জিনিসের সাহায্যে ইনফেকশনের সাথে পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে।
- দূষিত জল অথবা খাবার গ্রহণের মাধ্যমে।
- হাইপোডারমিক সুঁচ বা যৌনমিলনের দ্বারা সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরের তরল পদার্থের সংস্পর্শে এসে।
- সংক্রামিত পোকামাকড় বা পশুর কামড়ের মাধ্যমে।
- ধূমপান, মদ্যপান, এবং ড্রাগস সেবনের মত অভ্যাসগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
একটা ইমিউনোগ্লোবুলিন রক্তপরীক্ষার দ্বারা ভাইরাল ইনফেকশন নির্ণয় করা হয়। পরীক্ষাতে বিশেষ ইমিউনোগ্লোবুলিনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়: আইজিজি, আইজিএম এবং আইজিএ।
বেশীরভাগ ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদের বিশ্রাম নিতে ও প্রচুর পরিমানে জল খেতে বলা হয়। চিকিৎসক উপসর্গগুলির থেকে মুক্তি পেতে প্যারাসিটামল বা অ্যাস্পিরিন নিতে বলতে পারেন। ইনফ্লুয়েঞ্জার মত কিছু ইনফেকশনের জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিতে পারেন। একটি ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকগুলির পরামর্শ দিতে পারেন; তবে, এগুলি ভাইরাল রোগগুলির বিরুদ্ধে অনেক বেশি সুরক্ষা প্রদান করে না।