অপ্রচলিত টেস্টিকেল (ক্রিপ্টরস্কিডিজম) কি?
যখন একটা বালকের ছয় মাস বয়স পর্যন্ত টেস্টিকেল স্ক্রোটামে পৌঁছায় না তখন সেই অবস্থাকে অপ্রচলিত টেস্টিকেল বলা হয়। এই অবস্থাটাকে ক্রিপ্টরস্কিডিজমও বলা হয়। এই অবস্থায় একটা বা দুটোই টেস্টিকেল জন্ম থেকেই অনুপস্থিত থাকতে পারে। অপ্রচলিত টেস্টিকল কিশোর অবস্থায় সাধারণত দেখা যায়। প্রায় 1 শতাংশ এক বছর বয়সের শিশু এবং 30 শতাংশ অকালপক্ক বালকদের অন্তত একটা অপ্রচলিত টেস্টিস থাকে।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি কি?
কোনো বালকের অপ্রচলিত টেস্টিকেল থাকার শুধুমাত্র একটাই উপসর্গ হল যে দিক টা আক্রান্ত সেই পাশে স্ক্রোটামের ছোট বা অনুন্নত আকারের হয়। কখোনো স্ক্রোটামে টেস্টিসের অনুপস্থিতি অনুভব হয়, যাকে খালি স্ক্রোটাম বলা হয়। কোনো কোনো ছেলের অপ্রচলিত টেস্টিকেল পেঁচিয়ে যায় যার জন্য কুঁচকিতে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।
এর প্রধান কারণগুলো কি কি?
অপ্রচলিত টেস্টিকলের প্রধান কারণগুলো হলো:
- সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণ।
- রেক্ট্রাক্টাইল টেস্টিস (স্ক্রোটাম এবং কুঁচকির মাঝখানে টেস্টিস পিছনে ও সামনে নড়াচড়া করে।
- অস্বাভাবিক টেস্টিস।
- গর্ভে শিশুর বেড়ে ওঠাতে সমস্যা।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
একজন চিকিৎসক স্ক্রোটাম পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন স্ক্রোটামে একটা বা দুটোই টেস্টিকেলের অনুপস্থিতি। যদি শারীরিক পরীক্ষা অসুবিধাজনক হয় তাহলে চিকিৎসক ইমেজিং পরীক্ষা করাতে বলতে পারেন, যেমন সি টি স্ক্যান বা আল্ট্রাসাউন্ড, অনুপস্থিত টেস্টিকেলের স্থান চিহ্নিত করার জন্য।
বেশীরভাগ অপ্রচলিত টেস্টিকেলে টেস্টিকেল শিশুর এক বছর বয়সের মধ্যেই স্ক্রোটামে নেমে আসে। যদি টেস্টিস প্রাকৃতিক ভাবে নিচের দিকে নেমে না আসে তাহলে নিচে বলা প্রক্রিয়াগুলোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
- হরমোনের ইন্জেক্সন: টেস্টোস্টেরন বা বেটা-হিউম্যান করিওনিক গোনাডোট্রপিন (বি-এইচসিজি) হরমোন ইন্জেক্সন।
- অস্ত্রোপচার: অর্কিওপেক্সি একটা অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়া যাতে টেস্টিকেলকে আবার স্ক্রোটামে ফিরিয়ে আনা হয়। এই অস্ত্রোপচার তাড়াতাড়ি করলে ভবিষ্যতের সমস্যা এড়ানো যায় যেমন, বন্ধ্যত্ব ও টেস্টিসে হানি।
- যদি অপ্রচলিত টেস্টিকেল পরবর্তী জীবনে দেখা যায়, তাহলে এটা বাদ দেওয়া জরুরী। টেষ্টিকেল এইজন্য বাদ দেওয়া হয়, কারণ টেষ্টিকেল নিজের স্বাভাবিক কার্য করে না এবং এতে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে।