ঘা কি?
ঘা, যা ক্যান্ডিডিয়েসিস বা ক্যান্ডিডা সংক্রমণ নামে পরিচিত, একধরনের ইস্টের সংক্রমণ যা শরীরের বিভিন্ন অংশে আক্রমণ করে। ক্যান্ডিডা অ্যালবিকান্স নামক ছত্রাক এর কারণ, যা শরীরের পরিপাকনালী এবং ত্বকে বসবাস করে, এবং যেহেতু এরা মিথোজীবী, এরা কোনও ধরণের উপসর্গ প্রকাশ করে না। অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, এরা বিভাজিত হতে শুরু করে এবং এর ফলে মুখ, খাদ্যনালী, গলা, যোনি এবং লিঙ্গে সংক্রমণ হয়। আক্রান্ত অঙ্গের উপর নির্ভর করে, এর আলাদা আলাদা নাম আছে, সেগুলি হলো
- ওরাল ক্যান্ডিডিয়েসিস।
- ভ্যাজাইনাল ক্যান্ডিডিয়েসিস।
- ক্যান্ডিডা এসোফেজাইটিস।
- ওরোফ্যারিঙ্গাল ক্যান্ডিডিয়েসিস।
- পেনাইল ইস্ট ইনফেকশন।
এটি শিশু এবং বাচ্চা সহ বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিদের আক্রমণ করতে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
শরীরের কোন অংশটি এই ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে এর সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল:
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
ক্যান্ডিডা সাধারণত শরীরে আগে থেকেই উপস্থিত থাকে, কিন্তু তাদের সংখ্যা সংক্রমণ ঘটাতে সাহায্য করে না। নীচের কারণের জন্য ক্যান্ডিডার বিভাজন হয়, যার কারণে সংক্রমণ হতে পারে:
- ওষুধ, যেমন কর্টিকোস্টেরয়েড, গর্ভনিরোধক বড়ি, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এমন অ্যান্টিবায়োটিক।
- গর্ভাবস্থা।
- ধূমপান।
- মুখগহ্বরে শুষ্কভাব।
- দাঁতের পাটি সঠিক মাপের না হলে।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
- ক্যান্সার বা এইচআইভির মতো রোগ, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
এর রোগ কিভাবে নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতি কি?
ওরাল ক্যান্ডিডিয়েসিস সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা এবং আক্রান্ত অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আণুবীক্ষণিক পরীক্ষা দ্বারা নির্ণয় করা হয়। ক্যান্ডিডা এসোফেজাইটিসের নির্ণয়ের জন্য এন্ডোস্কপির প্রয়োজন হয়। জেনিটাল ক্যান্ডিডিয়েসিসের ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষা এবং উপসর্গগুলির সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়।
ক্যান্ডিডিয়েসিসের চিকিৎসার জন্য নিস্টেটিন, মাইকোনাজোল, এবং ক্লট্রিমাজোল জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধের ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এসোফেজাল অথবা গুরুতর ক্যান্ডিডিয়েসিসের ক্ষেত্রে সেবনের জন্য বা শিরায় প্রদানের জন্য ফ্লুকোনাজোলের পরামর্শ দেওয়া হয়। যেখানে ফ্লুকোনাজোল কাজ করে না সেক্ষেত্রে অন্যান্য ধরণের ছত্রাকনাশক ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়।