টেস্টোস্টেরোনের অভাব কি?
টেস্টোস্টেরনের অভাব এমন একটা অবস্থা যা সাধারণত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়, কারণ টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন প্রভাবিত হওয়ার ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়। যুবকদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের অভাবের ফলে অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেহেতু এটা বয়ঃসন্ধি ও শারীরিক পরিবর্তন প্রক্রিয়ার জন্য আবশ্যক।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
এই অবস্থার লক্ষণ ও উপসর্গ বিভিন্ন বয়সের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। টেস্টোস্টেরনের অভাবের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল:
- অবিকশিত পুরুষ জননাঙ্গ
- দাড়ি-গোঁফ ঠিকমতো না ওঠা এবং মাংসপেশীর দুর্বল বিকাশ
- বয়ঃসন্ধির পর বাধাপ্রাপ্ত বিকাশ
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, স্বল্প কামেচ্ছা ও যৌনক্রিয়ায় সমস্যার পাশাপাশি ক্রমাগত মেজাজ পরিবর্তন হতে থাকে।
- পেশীর ক্ষমতা কমে যায়
- অস্টিওপোরোসিস
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ টেস্টিস বা অন্ডকোষ ও মস্তিস্কের উপর নির্ভর করে, কারণ মস্তিস্কই হরমোনের উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে। টেস্টোস্টেরনের অভাবের সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হল বৃদ্ধাবস্থা। অন্যান্য যেসব কারণে এই অবস্থা হয়:
- পিটুইটারির, হাইপোথ্যালামাস অথবা টেস্টিসের জিনগত সমস্যা।
- ওষুধের যথেচ্ছা ব্যবহার।
- অন্ডকোষে আঘাত অথবা ক্ষতি।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
কামেচ্ছায় ঘাটতি এবং ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, চিকিৎসক রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টোস্টেরন টেস্টের পরামর্শ দিতে পারেন। পরীক্ষার ফলাফলে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য এই টেস্ট এক বা দুইদিনের মধ্যে পুনরায় করা হয়। এই অবস্থার চিকিৎসা উপলব্ধ, তবে, এই রোগ পুরোপুরি সারে না এবং সময়ে সময়ে ওষুধ গ্রহণ আবশ্যক। স্বাভাবিক মাত্রা ফেরানোর উদ্দেশে অনেক সময় টেস্টোস্টেরনের রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়। টেস্টোস্টেরন জেল বা ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে অভাবের চিকিৎসা করতে।
তরুণদের ক্ষেত্রে, টেস্টোস্টেরোন থেরাপি অনুপস্থিত গৌন যৌন বৈশিষ্ট্যকে সংশোধন করতে পারে। তবে, বেশি বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সন্তোষজনক ফল দেয় না। টেস্টোস্টেরোনের অভাব যে কোনও প্রাপ্তবয়ষ্ক পুরুষের কাছেই একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থা, কারণ এটি অন্ডকোষের বিকাশকে প্রভাবিত করে।