সারাংশ
শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমা হয়ে গেলে যে পরিস্থিতির তৈরি হয় তাকে ইডিমা বলা হয়। ফুলে যাওয়া টিস্যুর ওপরে ত্বক উষ্ণ, নরম এবং টানটান হয়ে যায়। সাধারণত হাত এবং পায়ে ইডিমা হয়ে থাকে (পেরিফেরাল ইডিমা), তবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও হতে পারে। চোখ এবং তার চারপাশের টিস্যুও একই পরিস্থিতিতে পড়তে পারে যেমন প্যাপিলইডিমা এবং ম্যাকিউলার ইডিমা, পাকস্থলীতে অ্যাসাইটিক্স, সারা শরীরে অ্যানাসারকা, ত্বক এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে (সাধারণত গলা, মুখ, ঠোঁট, এবং জিভে) অ্যানজিইডিমা, ফুসফুসে পালমোনারি ইডিমা এবং মস্তিষ্কে সেরিব্র্যাল ইডিমা। পেরিফেরাল ইডিমা, যা হাতে এবং পায়ে হয়, তা মূলত হয়ে থাকে রক্ত সংবহনতন্ত্রে (শিরার অক্ষমতা) ত্রুটি, কনজেসটিভ হৃদরোগ, বৃক্কের (কিডনি) সমস্যা, রক্ত সেরাম প্রোটিনে ঘাটতি, যকৃতে সমস্যা এবং লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে ক্ষতির (লিম্ফিইডিমা) কারণে।
স্বাস্থ্যের বিভিন্ন অন্তর্নিহিত কারণের জন্য শরীরের একদিকে বা উভয় দিকেই ইডিমা হতে পারে। প্রসূতি মহিলাদের মধ্যে, ঋতুচক্র চলাকালীন সময়ে, এবং দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিরোধক বড়ি খেলে মহিলাদের মধ্যে পেরিফেরাল ইডিমা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। যাঁরা দীর্ঘদিন রক্তাল্পতায় এবং থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের মধ্যেও এটি প্রায়শ দেখা যায়। অবসাদ রোধী ওষুধ বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার্স (উচ্চ রক্ত চাপের জন্য) এবং স্টেরয়েড-এর মত কিছু ওষুধ থেকেও ইডিমা হতে পারে। অন্তর্নিহিত কারণের ওপর নির্ভর করে ইডিমা অল্পদিন থাকবে নাকি দীর্ঘদিন ধরে ভোগাবে। অন্তর্নিহিত কারণের চিকিৎসা হল ইডিমা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক পর্যায়। অন্যান্য ব্যবস্থার মধ্যে থাকছে মোজার ব্যবহার, ওজন কমানো, শোবার সময়ে পা গুলিকে একটু ওপরের দিকে রাখা, এবং লবণ নিয়ন্ত্রিত খাদ্য তালিকা।