সাব কনজাংটিভাল হ্যামারেজ কি?
চোখের ভিতরে, অনেকগুলি রক্তবাহ থাকে। যদি এই রক্তবাহগুলো ফেটে যায় কোন আঘাতের কারণে বা অন্য কোন কারণে, তাহলে চোখের ভিতরে রক্তপাত হয় সেই স্বচ্ছ স্তরের নীচে যা চোখকে ঢেকে রাখে, যার নাম কনজাংটিভা। একে বলে সাব-কনজাংটিভাল হ্যামারেজ যেহেতু রক্ত কনজাংটিভাল স্তরের নীচে সঞ্চিত হয়।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো কি কি?
অনেকসময় হয়তো আপনি জানতেও পারেন না যে আপনার সাব-কনজাংটিভাল হ্যামারেজ আছে অনেক দিন ধরে।
- সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল চোখের সাদা অংশে (স্ক্লেরা) লাল প্যাচ সৃষ্টি হওয়া।
- আপনার হয়তো হালকা চুলকানি ভাব হতে পারে আক্রান্ত চোখে।
- ব্যথা এবং জ্বালাভাবের মত উপসর্গ খুবই বিরল, আর বেশীরভাগ সময় আক্রান্ত ব্যক্তির এরকম কোন অস্বস্তি থাকে না।
- কিছুদিন পর, লাল প্যাচটি বাদামি বা হলুদ রঙের হয়ে যায়।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
- প্রায় সব সাব কনজাংটিভাল হ্যামারেজ হঠাৎ করে হয় এবং নির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়াই হয়।
- মাঝে মাঝে, মারাত্মক ভাবে হাঁচি বা কাশি এটির কারণ হতে পারে, কারণ এর ফলে চোখে চাপের ফলে আঘাত লাগতে পারে।
- চিকিৎসাগত অবস্থা যেমন রক্তপাতঘটিত রোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ হল গুরুতর ঝুঁকির কারণ এই সমস্যার ক্ষেত্রে।
- খুব জোরে জোরে চোখ রগড়ানোও রক্তবাহের ফেটে যাওয়ার কারণ হতে পারে এবং রক্ত পড়তে পারে।
- কদাচিৎ, ক্যাটার্যাক্ট সার্জারি বা লেজার সার্জারি যেমন এলএএসআইকে হ্যামারেজের কারণ হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
- ডাক্তার সাব কনজাংটিভাল হ্যামারেজ নির্ণয় করতে পারেন শুধুমাত্র আপনার চোখ পরীক্ষা করে।
- আপনার রক্ত চাপও মাপা হবে।
- অন্য কোন নির্ণায়ক পরীক্ষা করার দরকার নেই, যদি না কোন অভ্যন্তরীণ রোগের সন্দেহ করা হয়।
- যদি তাই হয় তাহলে, একটা বিশদ চিকিৎসাগত ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা করা জরুরী, রোগ নির্ণয় করার জন্য।
চিকিৎসা
- সাধারণত, কোন চিকিৎসারই দরকার পড়ে না।
- যে রক্ত বেড়িয়ে আসে চোখে সেটা নিজে থেকেই কমে যায় এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে।
- কোন ডাক্তারি চিকিৎসার দরকার পড়ে না নিজের চোখের যত্ন নেওয়া ছাড়া।
- ডাক্তার হয়তো চোখের ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারেন যাতে জ্বালাভাব বা চুলকানি ভাব যদি থেকে থাকে তবে তা কমে যায়।