সারাংশ
ত্বকের ওপর র্যাশ বা আমবাত হলে ত্বকের রং এবং চেহারা পাল্টে যায়, সাধারণ ত্বকের সঙ্গে যার পার্থক্য খুব সহজেই করা যায়। বিভিন্ন অন্তর্নিহিত কারণের জন্য শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়। অধিকাংশ সময়ে খাবার বা ওষুধের অ্যালার্জির কারণে এটা হয়ে থাকে। তাছাড়া সূর্যের তাপে, বিশেষত গ্রীষ্মকালে, ত্বকের ওপর র্যাশ বা আমবাত দেখা যায়। ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, ফাঙ্গাস, বা পরজীবীর সংক্রমণের কারণেও ত্বকের ওপর র্যাশ বা আমবাত হতে পারে। কোনও কোনও সময়ে কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ত্বকের র্যাশ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ইতিহাস বিশদে জেনে নিয়ে এবং র্যাশটি পর্যবেক্ষণ করে কোনও চর্ম বিশেষজ্ঞ রোগ নির্ণয় করতে পারেন। কখনও রসায়ানাগারে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। সংক্রমণের কারণে ত্বকে র্যাশ বার হলে বিভিন্ন চিকিৎসার মধ্যে আছে উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগের সঙ্গে বিশ্রাম, প্রচুর জল খাওয়া, যে ওষুধের বিক্রিয়ার জন্য ত্বকে র্যাশ বেরিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তা বন্ধ করা, ক্ষতিকর রাসায়নিক, বিষাক্ত পদার্থ, এবং সূর্য রশ্মি থেকে দূরে থাকা। ত্বকে র্যাশ বার হওয়ার কারণ সম্পর্কে আগাম নিশ্চিত হওয়া সহজ, কারণ সাধারণত এটি কোনও অ্যালার্জি অথবা সংক্রমণ থেকে হয়ে থাকে, যা চিকিৎসা করলে নিরাময় হয়। কখনও কখনও কোনও অ্যালার্জি সংক্রমণের আগাম উপসর্গ হিসাবে ত্বকের র্যাশ দেখা যায়, যা থেকে প্রবল চুলকানি হয়, ফুলে যেতে পারে, এবং সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং পরে সেগুলি ফুসকুড়ি বা ফোড়ায় পরিণত হয়।