সারাংশ
দাদ চামড়া্র একটি সাধারণ সংক্রমণ যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। ডারমাটোফাইট নামক একটি ফাঙ্গাস'এর সংক্রমণে দাদ হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে টিনিয়া বলা হয়। মানুষ এবং পশু উভয়েরই দাদ হতে পারে। চামড়ার যে অংশ সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র থাকে সেখানেই দাদের সংক্রমণ হয়, যেমন পায়ের পাতার চামড়ার ভাজে, কুঁচকিতে, মাথার তালুতে, আঙুলে, ইত্যাদি। চামড়ার যে জায়গায় সংক্রমণ হয় সেই জায়গার নামানুসারে দাদের নামকরণ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ টিনিয়া ক্রুরিস হয় কুঁচকিতে, টিনিয়া ক্যাপিটিস হয় মাথার তালুতে, টিনিয়া উঙ্গুইয়াম হয় পায়ের নখে, টিনিয়া পেডিস (অ্যাথলেটস ফুট) হয় পায়ে আর হাতে হলে তার নাম হয় টিনিয়া মানূম। শরীরের যে কোন জায়গায় ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলে তাকে সাধারণত টিনিয়া কর্পোরিস বলা হয়।
দাদের চেহারা হল একটি গোলাকার পরিষ্কার জায়গা যাকে ঘিরে আছে রিংএর মত ফুসকুড়ি। রিং'এর বাইরের দিকটা উঁচু, লাল রঙের এবং খসখসে। দাদে তীব্র চুলকানি হয়। ইংরাজিতে দাদকে রিং-ওয়ার্ম বলা হয় কারণ এর বৈশিষ্ঠমূলক গোলাকৃতির ফুসকুড়ি জন্য। একজন সংক্রামিত মানুষ থেকে পশু বা পোষ্যর দাদের সংক্রমণ খুব সহজেই হয়। যে মাটিতে বা পৃষ্ঠতলে ফাঙ্গি আছে, সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। যে সমস্ত মানুষের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুব দুর্বল, যেমন যাদের এইচ-আই-ভি, মধুমেহ (ডায়াবেটিস) এবং ক্যান্সার আছে, সাধারণত তাদেরও দাদের সংক্রমণ হয়। সংক্রমিত জায়গা চোখে দেখে এবং অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা দাদ রোগের নির্ণয় করেন। অল্প সংক্রমণ হলে সাধারণত এন্টি-ফাঙ্গাল মলম এবং অন্যান্য লোশান লাগালেই সেরে যায়। আর সংক্রমণ যদি বেশি হয় তাহলে এন্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ খেতে হবে। অধিকন্তু, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকলে, চামড়া পরিষ্কার থাকলে দাদের প্রতিরোধ করা যায়।