র্যাবডোমায়োসারকোমা কি?
র্যাবডোমায়োসারকোমা (আরএমএস) হল পেশীর কোষে প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার, সাধারণত কঙ্কাল পেশীতে (ঐচ্ছিক) এটা হয়, যা শরীরের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও এটি শরীরের যে কোন স্থানে দেখতে পাওয়া যায় (এমনকি যেখানে কঙ্কাল পেশী উপস্থিত থাকে না সেখানেও), মূলত এটি মাথা এবং ঘাড় অঞ্চলে, মূত্রাধার এবং প্রজনন অঙ্গ, হাত এবং পা এবং শরীরে ধড়ের অংশে দেখা দেয়।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
র্যাবডোমায়োসারকোমার (আরএমএস) লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি ব্যক্তিবিশেষে পৃথক হয় এবং এটির আকার, পরিমাণ এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে। এর কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল :
- মাংসপিণ্ড বা ফোলাভাব।
- ব্যথা এবং/ বা অসাড়ভাব বা আক্রান্ত জায়গায় অস্বস্তিকর অনুভূতি।
- লালচেভাব।
- ওজনহ্রাস পাওয়া।
- অনবরত কাশি।
- দুর্বলতা।
- বমি করা।
- সাময়িকভাবে চোখ ফুলে যাওয়া, কখনও কখনও দৃষ্টিশক্তিতে বাধাদান করে।
- মাথাব্যথার সাথে কানেব্যথা।
- নাকে সমস্যা ছড়িয়ে গেলে নাক থেকে রক্ত পড়া, বা সাইনাস বা অস্থিকোটরে রক্ত জমা হয়।
- প্রস্রাবে রক্ত পড়া।
- যোনি থেকে রক্তপাত।
- মূত্রত্যাগে ব্যথা অনুভব, এবং অন্ত্রে আন্দোলন বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
- জন্ডিস, কদাচিৎ দেখা যায়।
- হাড় বা অস্থিতে ব্যথা।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
যদিও র্যাবডোমায়োসারকোমার প্রধান কারণটি এখনও অজানা, এটি জিনগত পরিবর্তনের সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়।
এটি কিভাবে নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?
চিকিৎসক উপসর্গের সম্পূর্ণ ইতিহাস জানার সাথে সাথে সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা করবেন শরীরের কোথাও লাম্পস বা মাংসপিণ্ড আছে কিনা তা জানার জন্য। চিকিৎসক আরও কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন যেমন:
- রক্ত পরীক্ষা, যার মধ্যে থাকবে,
- সম্পূর্ণ রক্ত গণনা (সিবিসি)
- রক্তের রাসায়নিকের পরীক্ষা
- টিউমার উপস্থিত থাকলে তার বিস্তার জানার জন্য এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা নিরীক্ষণের জন্য ইমেজিং পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় থাকবে:
- এক্স-রে
- আল্ট্রাসাউন্ড
- কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যান
- ম্যাগনেটিক রেজোন্যানস ইমেজিং (এমআরআই)
- এন্ডোস্কপিক আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান (ইইউএস)
- পিইটি (পজিট্রন এমিশন টোমোগ্রাফি) স্ক্যান
- হিস্টোপ্যাথোলজি, যাতে বিভিন্ন ধরনের বায়োপসি অন্তর্ভুক্ত, যেমন :
- কোর নিডল বায়োপসি
- ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন (এফএনএ) বায়োপসি
- বোন ম্যারো অ্যাসপিরেশন এবং বায়োপসি
- লাম্বার পাঙ্কচার ( স্পাইন্যাল ট্যাপ)
র্যাবডোমায়োসারকোমার চিকিৎসা টিউমারের আকার এবং অবস্থান এবং ব্যক্তির বয়স সহ একাধিক কারণের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসায় বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি হল:
- থেরাপির জন্য বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ ব্যবহার করে কেমোথেরাপি।
- টিউমারের স্থানে অস্ত্রোপচার বা আক্রান্ত অংশ কেটে বাদ দেওয়া।
- রেডিওথেরাপি বা প্রোটন বিম থেরাপি।