সারাংশ
হেমারইডস, যা পাইলস বা অর্শ নামেও পরিচিত, তা হল মলদ্বারের কাছে ফোলা আর ফাঁপা শিরা। সোজা কথায় এরা হল মলদ্বারের 'ভেরিকোজ শিরা'। অর্শ শরীরের ভিতরে (রেক্টামের ভিতরে) বা বাইরে (এনাস'এর চারদিকের চামড়ার নিচে)।
অর্শ বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যদিও এর সঠিক কারণ প্রায়ই জানা যায় না। মলত্যাগের সময়ে অত্যধিক চাপ দেওয়ার কারণে বা গর্ভাবস্থায় রেক্টামের শিরার উপর চাপ পড়ার কারণেও হতে পারে। লক্ষণগুলি সামান্য চুলকানি ও অস্বস্তি থেকে রক্তক্ষরণ এবং স্থানচ্যুতিও হতে পারে। এটি নির্ভর করে অর্শের তীব্রতার উপরে। এর চিকিৎসা হল জীবনধারার পরিবর্তন করে ফাইবার যুক্ত খাদ্য নেওয়া বা ব্যাথার জায়গায় ব্যথা কমানোর ঔষধ লাগানোর মত সরল প্রক্রিয়া অথবা শল্য চিকিৎসার মত জটিল। অর্শের জটিলতা সাধারণত বিরল। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে অর্শ দীর্ঘস্থায়ী অসুখে পরিণত হবে, ব্যথা ও জ্বালা হবে। তারপর থ্রম্বোসিস (রক্ত জমাট বাঁধ) এবং ঘা হতে পারে।
অর্শ সাধারণত বিপজ্জনক নয়। যদি অসুবিধার সৃষ্টি করে তবেই চিকিৎসা করতে হবে। গর্ভাবস্থায় হলে তা সাধারণত প্রসবের পরে ঠিক হয়ে যায়। যে অর্শ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য হয়, খাদ্যাভ্যাসের এবং জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করলে এই অসুবিধা ঠিক হয়ে যাবে, এমনই আশা করা যায়। শল্য চিকিৎসা করেও সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যায়।