সারাংশ
পেপ্টিক আলসার (পাকস্থলীর ক্ষত) হল এমন ঘা যা পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্র অন্ত্রে (ডিওডিনাম) প্রকাশ পায়। এগুলো পাকস্থলী অঞ্চলে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য (খিদের অভাব) এবং ওজন হ্রাসের দ্বারা চিহ্নিত হয়। এইসমস্ত আলসার বা ক্ষতের দ্বারা ঘটিত ব্যথা বা অস্বস্তি খাওয়া কিংবা অ্যান্টাসিড নেওয়ার দ্বারা কমে যায়। নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটোরি ড্রাগস (এনএসএআইডিস)-এর দীর্ঘ-মেয়াদী ব্যবহার কিংবা হিলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটা জীবাণুঘটিত সংক্রমণের উপস্থিতিতে সাধারণতঃ পেপ্টিক আলসার ঘটে। উপসর্গসমূহ, এনএসএআইডিস ব্যবহারের ইতিহাস এবং বিশেষ ধরণের কিছু পরীক্ষা যেগুলি জীবাণুঘটিত সংক্রমণের উপস্থিতি সনাক্ত করে সেগুলির উপর ভিত্তি করে অবস্থাটার লক্ষণ নির্ণয় করা হয়। সাধারণতঃ, বয়স্ক মানুষদের, সেইসমস্ত ব্যক্তি যাঁরা গুরুতর উপসর্গ বা সম্ভাব্য জটিলতা দেখান এবং অনবরত লেগে থাকা উপসর্গ থাকা মানুষদের ক্ষেত্রে এন্ডোস্কোপির পরামর্শ দেওয়া হয়।
পেপ্টিক আলসারের চিকিৎসা অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে। যেসমস্ত ব্যক্তি এনএসএআইডিস ব্যবহার করছেন তাঁদের এগুলির ব্যবহার বন্ধ করা দরকার হতে পারে কিন্তু যাঁদের কোনও জীবাণুঘটিত সংক্রমণ রয়েছে তাঁদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক-এর বিধান দেওয়া হয়। গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণতঃ প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর্স-এর বিধান দেওয়া হয়। যদি চিকিৎসা করতে দেরী হয় অথবা যদি আলসার ওষুধ প্রয়োগে সাড়া না দেয় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিরল জটিলতার মধ্যে থাকতে পারে অন্ত্রের ছিদ্র, গ্যাস্ট্রিক (পাকস্থলী-সংক্রান্ত) বাধা, এবং পেরিটোনাইটিস যার জন্য অবিলম্বে চিকিৎসাগত মনোযোগ এবং অস্ত্রোপচার দরকার।