প্যানিক অ্যাটাক এবং ডিসঅর্ডার কি?
প্যানিক অ্যাটাক এবং ডিসঅর্ডার হলো এক প্রকারের মানসিক উদ্বেগের রোগ, যার সঙ্গে একজন ব্যাক্তি কোনো বিশেষ বস্তু, লোক বা অবস্থায় প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রচন্ড ভয় পান। যখন আপনি প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করবেন তখন ব্যাক্তি এটা মনে করতে পারেন যে তারা নিজেদেরই প্রতিক্রিয়া বা আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। একটা গভীরতর দুশ্চিন্তাময় পর্ব প্যানিক অ্যাটাক হিসাবে পরিচিত, কিন্তু যখন কোনো ব্যক্তি দীর্ঘসময়ের জন্য প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করেন তখন চিকিৎসার ভাষায় একে প্যানিক রোগ বলে।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি কি?
প্যানিক অ্যাটাকের সময়, ব্যাক্তি মনোতাত্ত্বিক উপসর্গগুলো অনুভব করে, যেমন:
- প্রচন্ড নার্ভাস হওয়া।
- প্রচন্ড ভয় পাওয়া।
- মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।
- একা থাকতে চাওয়া এবং লোকের সঙ্গ এড়ানো।
প্যানিক অ্যাটাকে সাধারণত নিম্নলিখিত শরীরিক উপসর্গগুলো দেখা যায়:
- দ্রুত হৃদস্পন্দন (আরো পড়ুন: ট্যচিকার্ডিয়া কারণ ও চিকিৎসা)।
- বুকে ব্যথা।
- শ্বাসকষ্ট।
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
- ঝিমুনিভাব।
- দূর্বলতা।
- পেটে ব্যথা।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে প্যানিক রোগ হয়। যাইহোক, এটা একটা মনোগত ব্যাধি যার সঠিক চিকিৎসার দরকার। কোনো একটা বিশেষ বস্তুর উপর প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম হতে পারে। সাধারণত প্যানিক রোগ বাড়তে থাকে যদি কোনো ব্যাক্তি দীর্ঘসময় যাবৎ প্রচন্ড মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটায়।
অনেক লোকের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট কারণ বা উত্তেজনা রয়েছে যার ফলে প্যানিক অ্যাটাক হয়। উদাহরনস্বরূপ, কোনো কোনো ব্যাক্তির প্যানিক অ্যাটাকের কারণ ভীড়ভাড় পরিবেশ। প্যানিক অ্যাটাকের কারণগুলো নির্ভর করে ভালবাসার কাউকে হারাবার ভয়, নিজেকে বা নিজের প্রিয়জনকে ক্ষতি পৌঁছানোর হুমকি, ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতি ইত্যাদির উপর।
যাইহোক, প্যানিক অ্যাটাক কোনো সতর্কীকরণ ছাড়াও দেখা দিতে পারে।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
এই রোগটি একজন মনরোগবিশেষজ্ঞর দ্বারাই নির্ণীত হয়, বেশীরভাগ সময় একজন মনোস্তাত্ত্বিক দ্বারা। প্যানিক রোগ ঠিক করার জন্য ব্যাক্তিকে তার নিজস্ব উপসর্গের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়, আরামদায়ক ও শ্বাসের ব্যায়াম করে। মানসিক চাপ দূর করতে কাউন্সিলিং করা হয় ও কগনিটিভ আচরণগত থেরাপীর দ্বারা চিকিৎসা করা হয়।
গুরুতর অবস্থায় ওষুধের দরকার পড়ে। এইসব ক্ষেত্রে সাধারণত উদ্বেগ কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
এটা জানা দরকার যে প্যানিক রোগটি প্রাণঘাতি ব্যাধি না, কিন্তু একজনের আত্মবিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সময়মত সহায়তা ও উপসর্গের সচেতনতার সাহায্যে প্যানিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।