ওস্টিওমাইএলাইটিস বা অস্থির প্রদাহ কি?
ওস্টিওমাইএলাইটিস বা অস্থির প্রদাহ হলো হাড়ের সংক্রমণ, এটির প্রধান কারণ ব্যাকটেরিয়া এবং এটি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই সংক্রমণ হাড়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
এই অবস্থার প্রথমিক লক্ষণগুলি হল:
- হাড়ের মধ্যে ব্যথা।
- অতিরিক্ত ঘাম।
- জ্বর।
- শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
- অস্বস্তি।
- ফোলা।
- গরম অনুভূতি।
- সংক্রমণ এলাকায় ব্যথা।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
হাড়ের সংক্রমণের খুব সাধারণ কারণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়া; যদিও ছত্রাক এবং অন্যান্য জীবাণুও হাড়ের সংক্রমণের কারণ হতে পারে। স্টেফাইলোকক্কাস হল ওস্টিওমাইএলাইটিস বা অস্থির প্রদাহ সৃষ্টি করার সাধারণ প্রজাতি।
ওস্টিওমাইএলাইটিস, আক্রান্ত ত্বক বা পেশিগুলির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া নিকটতম হাড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যাইহোক, নির্দিষ্ট কিছু চিকিত্সাগত অবস্থা রয়েছে যা ওস্টিওমাইএলাইটিস বা অস্থির প্রদাহ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
এই ঝুঁকির কারণগুলি হল:
- ডায়বেটিস।
- খারাপ রক্ত সঞ্চালন।
- সাম্প্রতিক আঘাত।
- সাম্প্রতিক হাড়ে অস্ত্রোপচার।
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
এই অবস্থা নির্ণয়ের জন্য একাধিক পরীক্ষা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে:
- হাড়ের বায়োপসি।
- হাড়ের স্ক্যান যেমন সিটি স্ক্যান, ডিইএক্সএ।
- সংক্রামিত এলাকার এক্স-রে।
- উপসর্গগুলির পরীক্ষা।
- সম্পূর্ণ রক্ত গণনা (সিবিসি)।
- হাড়ের এমআরআই।
এই পরীক্ষাগুলিও হাড়ের সংক্রমণের তীব্রতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
ওস্টিওমাএলাইটিসের চিকিৎসার বিকল্পগুলির মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রয়েছে। এই ওষুধ সংক্রমণের কারণের সাথে যুক্ত ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি কাজ করতে প্রায় 4-6 সপ্তাহ সময় নেয় এবং সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত।
যদি অ্যান্টিবায়োটিকগুলি কাজ না করে এবং হাড়ের ক্ষতি গুরুতর হয়, তখন হাড়ের মৃত কোষ অপসারণ করতে এবং সংক্রমণের ছড়িয়ে পরাকে আটকাতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তির হাড়ের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং গুরুতর পর্যায় পৌঁছে গেলে, জটিলতা এড়াতে সংক্রমিত এলাকার অঙ্গচ্ছেদের প্রয়োজন হতে পারে।