সারাংশ
আমরা সবাই এমন কিছু মুহূর্ত অনুভব করি যেখানে আমাদের ভাবনাচিন্তা, আচরণ এবং অনুভূতি অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত হয়। এগুলো কোনও ঘটনা অথবা একজন ব্যক্তি অথবা এমন কিছু জিনিস যা আমরা আশা বা আগে থেকে অনুমান করতে পারিনি তার প্রতিক্রিয়ায় হতে পারে। যখন চরম বা অত্যধিক মাত্রায় দেখা যায়, এই অবস্থাগুলি অথবা উপসর্গগুলি কিছু বিশেষ পূর্ব-নির্ধারিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে মানসিক ব্যাধি হিসাবে স্বীকৃতি পায়। মানসিক ব্যাধির কারণগুলির একটা ব্যাপক ব্যাপ্তি আছে এবং অন্যান্য সবকিছুর মধ্যে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে মানসিক আঘাতদায়ক ঘটনা, শৈশবকালের মানসিক আঘাত, অবহেলা, দুর্ঘটনাজনিত কারণে শারীরিক অক্ষমতা, কোনও প্রিয়জনকে হারানো, বংশগত গঠনবিন্যাসে গোলমাল, মস্তিষ্কে ত্রুটি বা আঘাত, বেড়ে ওঠার সময়ের ত্রুটি। কোনও মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা এর অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে এবং এর মধ্যে থাকতে পারে পেশাদারের পরামর্শ, সাইকোথেরাপি (মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা), হিপনোথেরাপি (সম্মোহন চিকিৎসা), ওষুধ, ইলেক্ট্রোকনভালসিভ থেরাপি (মস্তিষ্কে ইলেকট্রিক শক প্রয়োগ), অস্ত্রোপচার এবং অন্যান্য। অ্যাকোয়্যার্ড মেন্টাল ইলনেস বা অর্জিত মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধ সম্ভব জীবনের প্রতি একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী থাকার দ্বারা, ধ্যান, বিভিন্ন ঘটনা এবং জীবনে মানসিক চাপ সামলাতে সক্ষম হওয়ার জন্য শিশুদের শিক্ষা, একটা স্বাস্থ্যকর ডায়েট, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং শখ বা মনের বিনোদন গড়ে তোলা যা জীবন এবং কাজে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।