গর্ভাবস্থায় খিদে না থাকা কি?
গর্ভাবস্থার সময় অন্যতম সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ হলো খিদে না থাকা, যা নানান কারণে বিকশিত হতে পারে, প্রাথমিকভাবে গর্ভাবস্থায় হওয়া হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
যদিও গর্ভাবস্থার লক্ষণ ও উপসর্গগুলি মহিলা বিশেষে পরিবর্তিত হয়, খিদে কমার সঙ্গে যুক্ত সাধারণ সমস্যাগুলি হলো
- ওজন কমে যাওয়া।
- প্রচন্ড বমি বমিভাব এবং বমি (ভোরবেলায় বমিভাব)।
- অত্যধিক ক্লান্তি।
- অস্বাভাবিক স্বাদ পরিবর্তনের সঙ্গে পছন্দের খাবারেও অরুচি।
- টক অথবা ধাতব স্বাদ (ডিসজিউসিয়া), এমন কি খাবার না খাওয়ার সময়ও।
- মেজাজের পরিবর্তন (যেমন কোনও কারণছাড়াই কান্না পাওয়া)।
- কোষ্ঠকাঠিন্য।
এর প্রধান কারণ কি?
গর্ভাবস্থায় খিদে না থাকার কারণগুলি হলো
- ভোরবেলায় বমিভাব, যেটা প্রধানত প্রথম তিনমাস অথবা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেখা যায় এবং খাবার ইচ্ছা কমিয়ে দেয়, যার ফলে যার কারণে খিদে হয় না।
- হরমোনের পরিবর্তন।
- গর্ভাবস্থা-সম্পর্কিত চাপ ও উদ্বিগ্নতা।
- ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন।
- গন্ধের অনুভুতি: কোনও কোনও মহিলার মধ্যে গর্ভবতী অবস্থায় প্রচণ্ড গন্ধ অনুভূত হয়, যে কারণে খিদে পায় না।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
চিকিৎসক খিদে না থাকা প্রধাণত নির্ণয় করেন সম্পূর্ণ ইতিহাস জেনে নিয়ে এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে, যা অপুষ্টি এবং পরিমিত ওজন হ্রাস এবং অত্যধিক ক্লান্তির ইঙ্গিত দিতে পারে। পুষ্টির অভাব মূল্যায়নের জন্য রক্তপরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় খিদে না থাকার তদারকির মধ্যে রয়েছে
- ঘরে পরিচালনা
খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমান ফল এবং সব্জী (ফাইবার সমৃদ্ধ) দুগ্ধজাত দ্রব্য (দুধ, ছানা ও দই), শ্বেতসারযুক্ত বা স্টার্চজাতীয় খাদ্য ( পাস্তা, ভাত, রুটি, পাঁউরুটি এবং ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালস), এবং বীনস এবং ডাল আর তার সঙ্গে প্রোটিনে ভরপুর মাংস ও পোলট্রিজাত খাবার। অতিরিক্ত ফোটানো খাবার এড়িয়ে চলবেন। - ওষুধের সাহায্যে ওষুধ ব্যবস্থাপনা।
- গ্যাস, বদহজম, অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও বুকজ্বালা কমাতে অ্যান্টাসিড।
- অ্যান্টিএমেটিক অর্থাৎ বমি কমানোর জন্য প্রোমেথাজিন, অন্ডানসেট্রন, এবং মেটোক্লোপ্রামাইড মতো ওষুধ।
- ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট বা সম্পূরক দেওয়া হয় যদি অপুষ্টি থাকে।
- ক্যালসিয়াম সম্পূরকের মতো খনিজ উপাদান।
- ভিটামিন ডি3 সাপ্লিমেন্ট।