সারাংশ
প্রবীণদের মধ্যে হাঁটুতে ব্যাথা খুবই সাধারণ ব্যাধি। মানুষ যখন বিশ্রাম নেয় বা হাঁটাহাঁটি করে বা দৈনন্দিন কাজকর্ম করে তখন হাঁটুর গাঁটের ব্যাথাকে এই নামে অভিহিত করা হয়। বেশিরভাগ সময়ে বয়স বাড়লে পারিপার্শ্বিক টিস্যুর গঠন ক্রমাগত ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এই সমস্যা হয়। আবার, দুর্ঘটনার ফলে হাঁটুর গাঁটে কোনও আঘাত অথবা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার সম্পূর্ণ ইতিহাস, রক্ত পরীক্ষা, এবং কিছু রেডিওলজি পরীক্ষা যেমন এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করে খুব সহজেই হাঁটুর ব্যাথার উৎস নির্ণয় করা সম্ভব। যন্ত্রণার অন্তর্নিহিত সমস্যার সমাধান করে, যেমন যাঁরা খুব স্থূল তাঁদের ওজন ঝরিয়ে বা উপসর্গ কমানো, আঘাতের স্থলে বরফ দেওয়া বা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাঁটুর ব্যাথার চিকিৎসা করা যেতে পারে। হাঁটুর ব্যাথায় চিকিৎসার অন্যান্য বিকল্প যেমন ফিজিওথেরাপি বা আকুপাংচারের পরামর্শও দেওয়া যেতে পারে। এই সব চিকিৎসা সত্ত্বেও যদি হাঁটুর ব্যাথা না কমে তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। হাঁটুর ব্যাথার আরোগ্য সম্ভাবনা খুবই বেশি, তবে যদি সঠিক সময়ে নির্ণয় না করা যায় তাহলে হাঁটুর ব্যাথা আরও বেড়ে যাওয়া বা হাঁটুর সন্ধিস্থল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার মত জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্ম, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, খেলাধূলা করা, এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করার জন্য হাঁটুর সন্ধিস্থল গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুতরাং, হাঁটু সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আগে, ব্যাথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।