সারাংশ
বিশ্ব জুড়ে সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হল অবসাদ। আগেকার দিনে অবসাদ মেলাঙ্কলিয়া নামে পরিচিত ছিল। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে এর তেমন পরিচিত ছিল না। গত কয়েক দশক ধরে অবসাদের ঘটনা বেড়েছে এবং সেই জন্য এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতাও বাড়ছে। সাম্প্রতিক কালে, অবসাদ শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয় বাচ্চাদেরও প্রভাবিত করেছে। অবসাদের ক্রমবর্ধমান প্রসার এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে যে এই অবস্থাটি তাড়াতাড়ি নির্ণয় করে তার চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
চিকিৎসার পরিভাষাতে অবসাদ হল মেজাজের ব্যাধি। অবসাদের লক্ষণগুলি হল নেতিবাচক চিন্তা, সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া এবং ক্রমাগত বিষণ্ণতায় ডুবে থাকা। অবসাদ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন, প্রসবের পরের অবসাদ (পোস্টপারটাম ডিপ্রেশান), লাগাতার হালকা অবসাদ (ডিসথাইমিয়া), মৌসুম বদলের সাথে অবসাদ এবং দ্বিধা-বোধ ব্যাধি (বাইপোলার ডিসরডার)। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে অবসাদের চারটি পর্যায় আছে। ব্যাধি যত বাড়তে থাকে, এটি রোগীর কার্যকর ভাবে নিজের কাজ করাতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে। এই অবস্থায় কিছু কিছু হস্তক্ষেপের কৌশল আছে যা সাহায্য করতে পারে। অবসাদ হ্রাস করার একটি কার্যকরী পন্থা হচ্ছে পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়া। বেশ কয়েকটি 'সেলফ-হেলপ' পরামর্শ আছে যেগুলিও কাজ করে। মানসিক রোগের প্রতি যেহেতু উল্লেখযোগ্য সামাজিক কলঙ্ক আছে, তাই অবসাদের রোগীদের পক্ষে পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া দুষ্কর হয়ে পরে। অবসাদ রোগটির সম্পর্কে সচেতনতা যত বৃদ্ধি পাবে, একা একা রোগটির সম্মুখীন হওয়ার বদলে রোগীদের পক্ষে ততই সহজ হবে দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে অন্যের সাহায্য নেওয়া।