সারাংশ
যখন ধীরে ধীরে কিডনির কার্যপ্রাণালী হ্রাস পায় তখন তা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির (বৃক্ক) অসুখে (সিকেডি) (ক্রনিক রেনাল ডিজিজ) দাঁড়িয়ে যায়। তার অর্থ, রোগ যখন বাড়তে থাকে তখন কিডনির যা কাজ, অর্থাৎ রক্ত পরিশ্রুতকরণ, তা আর করতে পারে না। সিকেডি-র দু’টি প্রধান কারণ হল, ডায়বিটিস (মধুমেহ) এবং উচ্চ রক্তচাপ। প্রথমাবস্থায় সাধারণত কিডনির অসুস্থতায় কোনও উল্লেখযোগ্য উপসর্গ দেখা যায় না। কাজেই সাধারণত, নিয়মিত রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষার সময় তা ধরা পড়ে। তবে, যদি চিকিৎসা সত্ত্বেও কিডনি খারাপ হতে থাকে বা প্রাথমিক পর্যায়ে যদি সিকেডি ধরা না পড়ে তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তির গোড়ালি ফুলতে থাকে, প্রস্রাবে রক্ত দেখা যায়, পেশিতে টান ধরে, বারবার মুত্রত্যাগ করতে হয় এবং সামান্য পরিশ্রমেই হাঁফ ধরে যায়। সিকেডি-র চিকিৎসা রোগের মূল কারণের ওপর নির্ভর করে। সিকেডি নিয়ন্ত্রণে ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে জীবনশৈলীর পরিবর্তনের একটি বড় ভূমিকা আছে। যদি কিডনির কার্যপ্রণালী উত্তরোত্তর খারাপ হয় তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তি অসুখের অন্তিম পর্যায়ে বা এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ (ইএসআরডি/রেনাল ফেলিওর/ কিডনি ফেলিওর) পৌঁছে যান, যখন ডায়লিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে সিকেডি আক্রান্ত 50 জনের মধ্যে 1 জনের কিডনি অকেজো বা নষ্ট হয়ে যায়। কিডনির জটিলতা বা তা অকেজো বা নষ্ট হয়ে যাওয়া আটকাতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা খুব জরুরি।