উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেনশন হিসাবেও পরিচিত, মানে হল যে শরীরে রক্তচাপ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে। রক্তচাপ হচ্ছে সেই শক্তি যা রক্তবাহী নালীগুলির গাত্রে (ধমনীগুলি) রক্ত ক্ষেপণ করে এবং যখন হৃৎপিণ্ড পাম্প করে তখন যা রক্ত গ্রহণ করে সেটা সহ্য করার মাত্রা। দীর্ঘকালীন ধরে বর্ধিত রক্তচাপ হৃৎপিণ্ড-সম্পর্কিত (কার্ডিওভাস্কুলার) স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির দিকে নিয়ে যায়।
হাইপারটেনশন সাধারণতঃ দুটো প্রধান ধরণে ভাগ করা যেতে পারে – প্রধান বা মূল হাইপারটেনশন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত হাইপারটেনশন। হালকা উচ্চ রক্তচাপ কোন প্রকার উপসর্গ ছাড়াই (এসিম্পটোম্যাটিক) হতে পারে, সেজন্য, রক্তচাপে হালকা বৃদ্ধি হওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের অবস্থার ব্যাপারে অনবহিত (জানে না এমন) থাকেন। যাই হোক, তীব্র হাইপারটেনশন থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, বিপদের আশঙ্কাপূর্ণ উপসর্গ হতে পারে যেমন মাথাধরা। উচ্চ রক্তচাপ কোনও অন্তর্নিহিত অথবা আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্য সমস্যর একটা পরিণতি হতে পারে। যাই হোক, সময় সময়, উচ্চ রক্তচাপের কারণ অজানা থাকতে পারে। রক্তচাপ সামলানোর মধ্যে প্রধানতঃ অন্তর্ভুক্ত থাকে খাদ্যে লবণের বিধিনিষেধ, শারীরিক ব্যায়াম, এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ নেওয়া।
যদি উচ্চ রক্তচাপ সনাক্ত করতে এবং চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়, হার্ট অ্যাটাক (তীব্র বা অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন) এবং চোখের সমস্যার (রেটিনোপ্যাথি) মত গুরুতর জটিলতা হতে পারে। ফলাফল অনেকাংশে নির্ভর করে অন্তর্নিহিত কারণ এবং প্রাপ্ত চিকিৎসার উপর। ডায়াবেটিস (মধুমেহ) থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হাইপারটেনশন-এর ফলাফল প্রভাবিত করে। উচ্চ রক্তচাপ সামলানোর জন্য দরকার জীবনধারার ধরণে একটা সারাজীবন ব্যাপী বদল আনার অঙ্গীকার এবং সারা জীবন ধরে ওষুধ নেওয়া। সেজন্য, উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে তাঁদের ওষুধগুলির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা কঠিন হতে পারে। এটাই সেই কারণ কেন নিয়মিত পরীক্ষা করানো সহ সময়মতো ক্লিনিকগুলিতে দেখানো এবং ডাক্তারের পরামর্শদান উচ্চ রক্তচাপ সামলানোয় একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।