সারাংশ
চিন্তা যখন এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় যেখানে শরীর প্রভাবিত হয় এবং শারীরিক কাজকর্ম ব্যাহত হয় তখন সেই মানসিক অবস্থাকে দুশ্চিন্তা বলে। দুশ্চিন্তা সাধারণত একাই আসে অথবা তিনটি শ্রেণির সঙ্গে একযোগে কাজ করে: অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, অবসেসিভ-কমপালসিভ ডিসঅর্ডার এবং অন্য সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি, এবং ট্রমা এবং মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দুশ্চিন্তা। এটি বিভিন্ন স্তরের হতে পারে যেমন হাল্কা, মাঝারি, চূড়ান্ত এবং আতঙ্ক মাত্রার। দুশ্চিন্তার মূল কারণ মানসিক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত, অসুস্থতা সংক্রান্ত, মদ্যপান, এবং মাদক সেবন। তাছাড়া, পারিবারিক ইতিহাস দুশ্চিন্তার বড় কারণ হতে পারে। উপসর্গের মধ্যে আছে বুক ধড়ফড় (হৃৎকম্পনের বৃদ্ধি), ভয়ের অনুভূতি, অতিরিক্ত ঘাম, বমিভাব এবং মাথাঘোরা, এবং অনিদ্রা। চিকিৎসার অত্যন্ত সাধারণ পদ্ধতি হল একাধিক ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করা এবং মনোরোগের চিকিৎসা (সাইকোথেরাপি)। সচেতন থাকা এবং দুশ্চিন্তার জন্য প্রয়োজনীয় থেরাপি ব্যবহার করে জীবনধারার পরিবর্তন আনা বেশ জটিল, কারণ উপসর্গ ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। দুশ্চিন্তার কারণে জটিলতা দেখা যায়, যার মধ্যে আছে মনোযোগের অভাব এবং দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা, হৃদরোগের মত চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা, অনিদ্রা এবং অজীর্ণ, এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা যেমন ভয় (ফোবিয়া), আত্মহননের প্রবণতা এবং ভীষণ ভয় (প্যানিক অ্যাটাক)।